বিশেষ প্রতিবেদন: জার্মানিতে মুসলিমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই ব্যাপক বৈষম্য, ঘৃণা এবং কখনও কখনও সহিংসতার মুখোমুখি হন। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া এক প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন সংস্থা, কাউন্সিলিং সেন্টার ও বেসরকারি সংস্থার বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পুলিশের নথিভুক্ত অপরাধের পরিসংখ্যান ও মুসলিমবিরোধী ঘটনার নথিপত্র বিশ্লেষণ করে ‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন মুসলিম হস্টিলিটি’ (ইউইএম) এমনটা বলছে। ১২ সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার সমন্বিত এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে তিন বছর সময় লেগেছে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইউইএম বলছে, নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে জার্মানিতে এক-তৃতীয়াংশ মুসলিম বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জোর দিয়ে বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত বেশি। কারণ, মুসলিমদের মাত্র ১০ শতাংশই তাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ ও ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মুসলিম জীবন অবশ্যই জার্মানির অংশ।’ আরও বলেন, ‘জার্মানির ৫৫ লক্ষ মুসলিমের অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে বৈষম্যের শিকার, যা ঘৃণা ও সহিংসতা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানিতে জন্ম নেওয়া মুসলিমদের ‘বিদেশি’ হিসেবে দেখা হয়। ইসলামকে ‘পশ্চাৎপদ ধর্ম’ মনে করা হয়। ঐতিহ্যবাহী হিজাব পরিহিত নারীরা বিরূপ আচরণের মুখোমুখি হন সেদেশে।