পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বন্যা পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠার মধ্যেই মধ্য অসমের পাঁচ জেলা কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা, বরপেটা ও বঙ্গাইগাঁও জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হবে বলে লাল সংকেত জারি করল আবহাওয়া দফতর। বুধবার পর্যন্ত এই সতর্কবার্তা জারি থাকবে। এরইমধ্যে মরার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো ধেয়ে আসছে আর এক বিপদ।
ভুটানের করি চু (নদী)-র জলধারা থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া শুরু হয়েছে। এর ফলে বরপেটা জেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া কালাদিয়া ও পাহমারা নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে প্লাবিত হচ্ছে আরও অনেক এলাকা।
সরকারি সূত্রের খবর, অসমের ২৪টি জেলা জলমগ্ন। এখন পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ২৩টি রাজস্ব সার্কেল। এরইমধ্যে নগাঁও জেলার গোসাইগাঁওয়ের কপিলীনদী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভেঙে গেছে প্রেম জাল বাঁধ। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। হোজাই জেলার রেললাইনের উপর দিয়ে প্লাবনের জল বইছে। বিভিন্ন জেলার প্রধান সড়কগুলি ডুবে গেছে। তেজপুরে গভীর জঙ্গল বন্যার জলে প্লাবিত। ফলে প্রাণ বাঁচাতে লোকালয়ে চলে এসেছে বন্য হাতির পাল।
মেঘালয়ে ৬নং জাতীয় সড়ক বিভিন্ন জায়গায় ধসের কারণে বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে তিনটি রাজ্যকে। বর্ষা এলেই অসমবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। বর্ষা মানেই অসমের জন্য বন্যা। ফি বছর বন্যায় ভাসে রাজ্য। নদী ভাঙনে অগণিত মানুষকে গৃহহীন হতে হয়। তবে সরকার মুখেই শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের কোনও উদ্যোগই নেই।