পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভালোবেসে ঘর বাঁধার বদলে প্রেমিকাকেই রাঁধার অভিযোগ উঠল মনোজের বিরুদ্ধে। লিভ-ইন-পার্টনার সরস্বতীকে প্রথমে কুড়ুল দিয়ে ২০ টুকরো করে, প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করার অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টুকরো করা দেহ সেদ্ধ করার পর মিক্সার গ্রাইন্ডারে পিষে কুকুরকে খাওয়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।
মুম্বইয়ের মীরা রোডের একটি বহুতলের আটতলায় মনোজ-স্বরস্বতীর ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকলে সন্দেহ হয় ওই ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দাদের। এরপরই তারা ফোন করে পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্বরস্বতীর দেহের টুকরো উদ্ধার করার পাশাপাশি গ্রেফতার করে মনোজকে। বুধবার পুলিশ যখন ঘরে ঢোকে, তখনও রান্না ঘরেই ছিল মনোজ। সেই সময় স্বরস্বতীর পায়ের একটি অংশ সেদ্ধ করতে যাচ্ছিল সে।
জেরায় মনোজ দাবি করে, সে স্বরস্বতীকে খুন করেনি। ১৬ বছর আগে একটি রেশনের দোকানে কাজ করত মনোজ। সেখানেই তার আলাপ হয় অনাথ স্বরস্বতীর সঙ্গে। এরপর থেকেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত। গত ৩ বছর ধরে ওই ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতেন ৩২ বছরের স্বরস্বতী বৈদ্য ও ৫৬ বছরের মনোজ সাহানি।
মনোজের মতে, ৪ জুন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে স্বরস্বতী। তাঁর মৃত্যুর পর ভয় পেয়ে যায় মনোজ। তার মনে হয়, পুলিশের কানে খবর গেলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সে ফেঁসে যাবে। তাই স্বরস্বতীর দেহ লোপাট করতে একটি কুড়ুল এনে তাঁর দেহের ২০ টি টুকরো করে মনোজ। এরপর দেহাংশগুলি প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে প্লাস্টিক-বন্দি করার পর ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দারা জানান, প্রায়শ ঝগড়া করত তারা দুজন। তাদের মতে, মনোজকে তারা কখনও পথকুকুরকে খাবার দিতে দেখেননি। কিন্তু শেষ কয়েকদিন তারা খেয়াল করেছিলেন, মনোজ পথকুকুরকে খাওয়াচ্ছেন। তাছাড়া তার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধও বেরোচ্ছিল। সেখান থেকেই তাদের সন্দেহ হয়। এরপরই জানানো হয় পুলিশকে।
সাম্প্রতিক অতীতেএই ধরনের বেশ কয়েকটি নৃশংস হত্যার সাক্ষী থেকেছে দেশ। কখনও প্রেমিকাকে টুকরো করে ফ্রিজারে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে, কখনও বা খাটের নিচে। আর এই ধরনের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে মনোজকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।