দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: শান্তিনিকেতন থানার ওসি দেবাশীষকে পণ্ডিত নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিল পরিবার। শুধু তাই নয়, সিবিআই অফিসারদের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তারা। পরিবারের আপত্তিতে ধর্ষিতার বাড়িতে পুলিশ আধিকারিক প্রথমে ঢুকতে না পেলেও, পরে সিবিআই অফিসাররা ডেকে নেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সংবাদমাধ্যমকে দেবাশীষ পণ্ডিত জানান, তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকেরা তদন্তের গতি প্রকৃতি জানতে খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং এটা স্বাভাবিক যে সিবিআই যখন তদন্ত করবেন তখন জেলা পুলিশের কারো থাকার কথা না। সেটাই হয়েছে। এখানে বিতর্কের কিছু নেই।
উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা তদন্তে গত শনিবার থেকে বীরভূম জেলাতে থেকে একের পর এক তদন্ত করে চলেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী টিম। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ সদস্যের ওই টিম শান্তিনিকেতন থানায় গিয়ে পৌঁছায়।
তারা দীর্ঘক্ষণ শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পর কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরনারায়ণপুর এলাকায় যান। নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর সেখানে এক বিজেপি সমর্থককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। তারই তদন্তে সিবিআই টিম গিয়ে পৌঁছায় নির্যাতিতার পরিবারের বাড়িতে।
সিবিআই তদন্তকারী টিম নির্যাতিতার বাড়িতে ঢোকার সময় শান্তিনিকেতন থানার ওসি দেবাশীষ পণ্ডিত তাদের সঙ্গে বাড়ির ভিতর ঢুকতে যান। তখনই ক্ষোভ উগরে দেয় পরিবারের সদস্যরা। তারা ওই আধিকারিককে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। তাঁরা চিৎকার করে বলেন , “আপনাদের জন্যই আমরা কষ্ট ভোগ করছি।” এরপর আর ওই আধিকারিক বাড়িতে ঢোকেনি।
পরে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই ওই আধিকারিককে ভিতরে ডেকে নেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন।
সোমবার বিকাল পর্যন্ত নির্যাতিতার বাড়িতে থেকে প্রতিটি সদস্যের কথা শুনে তা লিপিবদ্ধ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর ওই পরিবারের নিরাপত্তাহীর স্বার্থে বাড়ির সামনে একটি রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে।