পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সিলেবাসের বোঝা কমাতে হবে। এই অজুহাতে এবার দশম শ্রেণির স্কুল পাঠক্রম থেকে গণতন্ত্র-সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ দিল এনসিইআরটি। পাশাপাশি, পর্যায় সারণি, শক্তির উৎসের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ও ছেঁটে ফেলেছে তারা। তাদের এই সিদ্ধান্তে অবাক হচ্ছে শিক্ষামহল।
তবে ওয়াকিফহাল মহল বলছে, কেন্দ্রের মোদি সরকারের আদর্শ ও নিয়ন্ত্রণেই চলছে এনসিইআরটি। তাই কখনও মুঘল, কখনও মৌলানা আজাদের উপর কোপ পড়ছে।
মুসলিমদের নাম-নিশানা মুছে দিতে চায় তারা। পাশাপাশি গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনাকেও বিপজ্জনক হিসেবে দেখছে ওরা। কারণ শাসনতন্ত্র তো ফ্যাসিবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেঙ্গল নিয়ে রাজার অভিষেক হল দিনকয়েক আগে। এখন আর গণতন্ত্রের কথা পড়ে কী হবে!
গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের সমস্যা-সংকট-চ্যালেঞ্জ ও রাজনৈতিক দল বিষয়ক অধ্যায়গুলি নতুন সংস্করণে বাদ দিয়েছে এনসিইআরটি। বেশকিছু জনপ্রিয় বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাস বাদ দেওয়া হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা আন্দোলন, রাজনৈতিক দল সম্পর্কে খুদে পড়ুয়াদের কোনও ধারণাই দিতে চাইছে না কেন্দ্র। তাই এভাবে বিষয়গুলিকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এনসিইআরটি এ নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণেই সিলেবাসের বোঝা হালকা করতে হচ্ছে। পরবর্তী শ্রেণিতে এই বিষয়গুলি তারা পড়ে নিতে পারবে। কিন্তু মাধ্যমিকের পর যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে তারা কীভাবে ইতিহাস ও গণতন্ত্র নিয়ে পরবর্তীতে পড়তে পারবে, সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য নেই এই কাউন্সিলের কাছে।
তাছাড়া বিজ্ঞান শেখার জন্য পর্যায় সারণি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়ুয়াদের ভিতই যদি দুর্বল হয়, তাহলে কীভাবে তারা পরে ভালো করে বিজ্ঞান শিখবে? উঠছে এমন প্রশ্ন।
দেশের বর্তমান সরকার বিজ্ঞান ও গণতন্ত্রকে সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে পড়ুয়াদের জ্ঞানের জগতকেও সংকীর্ণ করে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠছে।