পারিজাত মোল্লা: এক কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম অধিকর্তার নিখোঁজ ঘটনায় মামলা গড়ালো কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে। আদালত সূত্রে প্রকাশ, কাজের সূত্রে কলকাতায় এসে নিখোঁজ কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম অধিকর্তা! বিহারের পটনা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। পরে হুগলিতে শ্বশুরবাড়ি যান জামাই। সেখান থেকেই তাঁর আর নাগাল পাওয়া যায়নি। ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও ওই তাঁর খোঁজ জানাতে পারেনি পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। এমনই দাবি তুলে স্বামীকে পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ নিখোঁজের স্ত্রী।
হেভিয়াস কর্পাসের মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর আর্জি, -‘অবিলম্বে স্বামীকে খুঁজে আনা হোক’। আগামী ৬ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।স্বামীর সন্ধান না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন স্ত্রী পিয়ালি মাণ্ডি। তাঁর দাবি, স্বামী সুকুমার মাণ্ডি কেন্দ্রীয় সরকারের ধান উন্নয়ন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা হিসাবে পটনায় কাজ করেন।
গত বছর ১৪ নভেম্বর অফিসের কাজে তিনি কলকাতায় আসেন। কাজ সেরে সে দিন গভীর রাতে হুগলির হরিপালে শ্বশুরবাড়িতে যান। পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেখান থেকে সুকুমার চলে যান। সেই থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।
একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁকে পাওয়া যায়নি। ১৯ নভেম্বর হুগলির থানায় স্বামীর ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন পিয়ালি। বিষয়টি জানানো হয় সিআইডিকেও। কিন্তু এত দিনেও স্বামীর কোনও সন্ধান তারা দিতে পারেনি।
পিয়ালি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরে থাকেন। স্বামীর অফিসের কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন। বিভিন্ন সময় তাঁকে পটনা থেকে কলকাতায় আসতে হত। ওই দিনও তিনি শহরে এসেছিলেন। কিন্তু তার পর কলকাতা থেকে কেন হুগলির শ্বশুরবাড়িতে গেলেন তা তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন নিখোঁজের স্ত্রী। আগামী ৬ জুন এই মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সুকুমার নিখোঁজের খবর পেয়ে সরকারের তরফেও পটনার থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সন্ধান পাওয়া যায়নি ওই অধিকর্তার।
পিয়ালির অভিযোগ, নিখোঁজ হয়েছেন জানতে পেরে স্বামীর বেতন-সহ অন্য সুবিধা বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট দফতর। আদালতে তাঁর আবেদন, স্বামীকে খুঁজে হাজির করানো হোক। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত স্বামীর বেতন দেওয়া হোক পরিবারকে। গত নভেম্বর পাটনা থেকে হুগলির শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওই অফিসার। সেখানে থেকে তিনি আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান। গত সাত মাস ধরে তিনি নিখোঁজ। সিআইডি ও পুলিশ কেউ খোঁজ দিতে পারেনি। তাই স্বামীকে খুঁজে পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন ওই আধিকারিকের স্ত্রী। আগামী ৬ জুন কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।