পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকে ২৪ জন নতুন মন্ত্রী শপথ নিলেন। ইতিপূর্বে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সহ ১০ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সহ ৩৪ জনের পূর্ণ মন্ত্রিসভা গঠন হল শনিবার। আজকের শপথ নেওয়া ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন মুসলিম বিধায়ক রহিম খান। ইতিপূর্বে শপথ নিয়েছিলেন মুসলিমদের মধ্য থেকে জামির আহমদ। কর্নাটকে প্রথম মুসলিম স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা ইউটি আবদুল খাদির। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি স্পিকার নির্বাচিত হলেন। রাজভবনে রাজ্যপাল থাওরচাঁদ গেহলট শনিবার শপথ পাঠ করান। বেশিরভাগই ঈশ্বরের নামে শপথ গ্রহণ করেন।
আবার অনেকে, বুদ্ধ, বাসভা, আম্বেদকর, মহর্ষি বাল্মিকী, দেবতা কল্লেশ্বর ও ছত্রপতি শিবাজীর নামেও শপথ বাক্য পাঠ করেন। রহিম খান অবশ্য শপথ নেন আল্লাহর নামে।
৩৩ জনের মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন ২ জন মুসলিম আর লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর ৬ বিধায়ক মন্ত্রী হলেন। ভোক্কালিগা গোষ্ঠী থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৫ জন। এছাড়া তফসিলি জাতি ও তফসিলি থেকে মন্ত্রী হলেন ৭ জন। আর ওবিসির ৫ জন এবং মারাঠি, ব্রাহ্মণ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায় থেকে ১ জন করে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ৩৩ জনের মধ্যে মাত্র একজন মহিলাকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত অঞ্চল ও গোষ্ঠীদের প্রতিনিধিত্ব নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। রেড্ডি, কুরবা, মারাঠি, ব্রাহ্মণ, দলিত, মুসলিম লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগা, তফসিলি জাতিদের প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভায়। উল্লেখ্য কর্নাটকে লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠী ১৭ শতাংশ, ভোক্কালিগা ১৫ আর মুসলিম ১৪ শতাংশ। তফসিলি রয়েছেন ১৮ শতাংশ। কর্নাটকে ব্রাহ্মণ জনসংখ্যা রয়েছে ৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, কর্নাটকে বরাবরই লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগাদের প্রাধান্য দেখা গিয়েছে কর্নাটকের বিধায়ক ও সাংসদ পদে। অবশ্য লিঙ্গায়েতরা হিন্দু ধর্ম থেকে বের হয়ে আলাদা ধর্ম পরিচয়ের দাবি জানাচ্ছেন বহু বছর ধরেই।
শপথ গ্রহণের পর বিভাগ বন্টন সম্পন্ন হয়। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া রেখেছেন অর্থ, কর্মীবর্গ, গোয়েন্দা ও তথ্যবিভাগ। ডেপুটি স্পিকার শিবকুমারের দায়িত্বে সে ও বেঙ্গালুরু উন্নয়ন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেওয়া হয়েছে ডা. জি পরমেশ্বরকে। জামির আহমদ পেয়েছেন ওয়াকফ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর এবং রহিম খানকে দেওয়া হয়েছে হজ ও পুরসভা বিষয়ক মন্ত্রক।