তালিবানের প্রথম প্রশাসনে (১৯৯৬-২০০১) নানগারহার প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছেন মৌলভি আবদুল কবির। কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দোহা আলোচনাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মৌলভি আবদুল কবিরকে আফগানিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এক বিশেষ আদেশে এই নিয়োগ দেন। জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোল্লা মুহম্মদ হাসান আখুন্দ অসুস্থ। তাই মৌলভি আবদুল কবিরকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মোল্লা হাসান আখন্দ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আবদু কবিরই সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মৌলভি আবদুল কবির পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশের জাদরান উপজাতির সদস্য । তিনি ১৯৯৬-২০০১ সময়ে তালিবানের প্রথম প্রশাসনে নানগারহার প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দোহা আলোচনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানের মধ্যে দোহা চুক্তি হয়েছিল। ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় ফেরার পর মৌলভি কবিরকে আখুন্দের অর্থনীতিবিষয়ক সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ তিনি আফগান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০২১ সালের আগস্টে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাসান আখুন্দ ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি কী ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন, তা আফগান সরকারের বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে কান্দাহারে যাওয়ার পর হাসান আখুন্দ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে আর কাজে ফিরতে পারেননি তিনি। এছাড়াও তিনি আরও কিছু রোগে ভুগছিলেন। স্বভাবতই বিশ্রাম প্রয়োজন ছিল তাঁর। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী আখুন্দ কিছুদিনের জন্য কান্দাহারে বিশ্রামে রয়েছেন। এ অবস্থায় প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে একজন তত্ত্বাবধায়কের প্রয়োজন ছিল। এ কারণেই মোল্লা আবদুল কবিরকে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে।