পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তামিলনাডু, মহারাষ্ট্র,কর্নাটকের আবেদনে সাড়া দিয়ে জাল্লিকাট্টুর বৈধতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম জোসেফ এর নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, জাল্লিকাট্টু নিয়ে রাজ্যগুলির আইন বৈধ্য।
উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টুকে কেন্দ্র করে অতীতে একাধিক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই এই প্রথা বন্ধের দাবিতে তামিলনাড়ু সরকারের আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিল প্রাণী অধিকার সংগঠন পেটা। চলছিল শুনানি। এবার সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানান, ‘জাল্লিকাট্টু’ তামিলনাড়ুর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ, তা রাজ্যের আইনসভা ঘোষণা করেছে। এর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ কোনও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিতে পারে না বলে জানানো হয়।
বিচারপতিদের মতে, জাল্লিকাট্টু নিষ্ঠুর খেলা হলেও, কেউ অস্ত্র ব্যবহার করে না। তবে দুর্ঘটনায় রক্তপাত হয়ে থাকে। খেলাটি নৃশংস হলেও পশুকে খুনের চেষ্টা করেন না কেউ। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটলেও ‘রক্তের খেলা’ বলা যায় না।
শীর্ষ আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে তামিলনাড়ুর আইনমন্ত্রী এস রঘুপথি বলেছেন এই রায় “ঐতিহাসিক”। তিনি বলেছেন, আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা করা হয়েছে।
যদিও এই রায়ের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পেটা। পেটা জানিয়েছে, ‘আজকের রায় তামিল এবং ভারত বিরোধী। কারণ এটি এমন নিষ্ঠুর ঘটনার খেলার পক্ষে দাঁড়িয়েছে যা ক্রমাগতভাবে আমাদের দেশের পশুদের পাশাপাশি তামিলিয়ান পুরুষ ও শিশুদের দুর্ভোগ ও মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎসবের আড়ালে এই অমানবিক খেলা আমাদের দেশকে বিশ্বের চোখে পশ্চাদগামী দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রসঙ্গত, ‘এরুথাঝুভুথাল’ নামেও পরিচিত এই খেলা। তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবের অংশ হিসেবে ষাঁড়-মানুষের খেলা দেখা যায়। যা দাক্ষিণাত্যের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে বিপুল জনপ্রিয়। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও এই খেলার প্রচলন রয়েছে। তিন রাজ্যেই আইনত বৈধ জাল্লিকাট্টু।