পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আমেরিকার হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠিকে কারচুপির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল মাস পাঁচেক আগে। তারপর থেকেই আদানি ইস্যুতে তোলপাড় হয়েছে দেশ। সংসদে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির দাবিতে শোরগোল তুলেছিলেন বিরোধীরা। সে দাবি আজও মানা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি প্যানেল এ বিষয়ে তদন্ত করছে। সমান্তরালভাবে কাজ করছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। তবে সেবি আদানির বিরুদ্ধে যে গতিতে তদন্ত করছে তাতে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। তদন্ত শেষ করার জন্য শীর্ষকোর্টের কাছে আরও ৬ মাস চেয়েছিল সেবি। বুধবার তা নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে সেবি-কে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেবি-র কাছে এ পর্যন্ত হওয়া তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্টও জমা দিতে বলেছে।
সেবিকে এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও ৩ মাস সময় দিয়েছে। এর মধ্যেই গৌতম আদানির সংস্থা শেয়ার মার্কেটে কীভাবে বেআইনি কাজ করেছে বা লেনদেনে অনিয়ম করেছে তা খুঁজে বের করে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেবি আরও বেশি সময় চেয়েছিল। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালত তিরস্কারের সুরে জানায়, আপনাদেরকে এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য তদন্ত করার সময় দিতে পারি না। কতদূর তদন্ত হয়েছে, আমাদের জানালে ভালো হয়। অন্যদিকে, সেবি জানিয়েছে, তারা আসলে আদৌ ২০১৬ সাল থেকে আদানি বিষয়ে কোনও তদন্ত করেনি। অথচ, এর আগে পার্লামেন্টে মোদি সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, আদানি গোষ্ঠীর কারচুপি নিয়ে তদন্ত চলছে ২০১৬ থেকে। বাস্তবে সেটা হয়নি। এতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আরও একটি কারচুপি সামনে এলো।