পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গুজরাতের প্রতারক কিরেণ প্যাটেলের জালিয়াতির মামলায় তার দুই সহযোগীর নাম চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে জানাল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। অমিত হিতেশ পাণ্ডিয়া ও সিভজি সীতাপাড়া নামে দুই সাক্ষীর নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি সাক্ষী হিসেবে পুলওয়ামার প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার বাসির উল হক চৌধুরী এবং এসএসপি সিকিউরিটি শেখ জুলাফকার আজাদ দুজনের নাম চার্জশিটে দেওয়া হয়। এর মধ্যে চৌধুরীকে ২৭ এপ্রিল সরকারি রদবদল করে কাশ্মীর পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়। আজাদ একই পদে বহাল আছেন।
গত মার্চ মাসে কিরেণ প্যাটেলকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। গ্রেফতারের আগে তিনবার কাশ্মীরে এসেছিলেন প্যাটেল।
গত ২ মে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। সাক্ষী অমিত পাণ্ডিয়া গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক হিতেশ পাণ্ডিয়ার ছেলে, যিনি কনম্যানের গ্রেফতারের পরে পদত্যাগ করেছিলেন। গত ৩ মার্চ কিরেণ প্যাটেলকে গ্রেফতারের পরেই অমিত পাণ্ডিয়া ও সিভজি সীতাপাড়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের ৭ মার্চ আহমেদাবাদে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় শ্রীনগরের জেলে বন্দী ছিলেন কিরেণ প্যাটেল।
জানা গিয়েছে, কিরণ ভাই প্যাটেল দাবি করেছিলেন তিনি একজন পিএমও-র আধিকারিক। দাবি ছিল তিনি পিএমও-র ‘স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ক্যাম্পেন’ বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। চার্জশিট অনুসারে, প্যাটেলের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘জম্মু ও কাশ্মীরের’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগের মাধ্যমে চুক্তির সুবিধা দিয়ে অর্থ উপার্জন করা। প্যাটেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোট প্রকল্প মূল্যের ২ থেকে ৩ শতাংশ কমিশন পেতেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, কিরেণ প্যাটেল কড়া নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকে প্রভাবশালীর পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিজের প্রভাব বাড়াতে চাইতেন। তিনি বোঝাতে চাইতেন সরকারি আমলাদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশ এই মামলায় পাণ্ডিয়া আর সীতাপাড়ার দুজনের বয়ান নিয়েছে। দুজনেই জানিয়েছেন, কিরেণ প্যাটেল তাদের মিথ্যার জালে ফাঁসিয়ে প্রতারণা করেছেন। ব্যবসায়ীদের প্রতারণা জালে জড়াতে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে।
পুলিশ পাণ্ডিয়া ও সীতাপাড়ার ফোনদুটি বাজেয়াপ্ত করে, সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। চার্জশিটে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাটেল নিজেকে ত্রিলোক সিং বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। যিনি একজন আইএএস অফিসার, আরএসএস কর্মী। পিএমও অফিসে কর্মরত। ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে কিরেণ প্যাটেল দাবি করেছিলন নির্বাচনের কাজ কর্ম খতিয়ে দেখতে তাকে পিএমও অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে।