পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: India Today- বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে মিলে গেল কর্নাটকের ভোটের ফলাফল। জয়ের পথে কংগ্রেস। এই মুহূর্তে কংগ্রেস ১৩৪ ভোটে এগিয়ে আছে, বিজেপি-৬৪-তে এগিয়ে। জেডিএস -২২ টি আর অন্যান্যরা-৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ফল বের হতেই স্পষ্ট কর্নাটকে কাজে এল না মোদি-ম্যাজিক। আর ওপিয়ন পোলের ম্যান অফ ম্যাচ রাজীব সরদেশাই ইন্ডিয়া টুডে’তে পেশ করেছিলেন তা একেবারে হুবহু মিলে যাওয়ায় আরও গুরুত্ব বেড়ে গেল ইন্ডিয়া টুডের।
কর্নাটকে ভোটে প্রায় সবকটি সমীক্ষা এগিয়ে রেখেছিল কংগ্রেসকে। জনমত সমীক্ষাতেও যে প্রবণতা উঠে এসেছিল, বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও তার বিশেষ পরিবর্তন দেখা গেল না। অর্থাৎ বিজেপি যে কুরসী দখলের দৌড়ে পিছিয়ে থাকছে তা দুই সমীক্ষাতেই স্পষ্ট। তবে একথা ঠিক যে জনমত সমীক্ষাই হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, ফল না বের হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া টুডে’ করা বুথ ফেরত সমীক্ষায় সত্যি হল।
কর্নাটকে ২২৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে। সরকার গড়তে প্রয়োজন ১১৩টি আসন। অধিকাংশ সমীক্ষা অনুযায়ী ম্যাজিক ফিগারের কিছুটা আগে গিয়ে থামতে চলেছে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে জেডিএস-র সঙ্গে জোট গড়ে সরকার তৈরির সুযোগ থাকছে তাদের কাছে। অপরদিকে জেডিএসকে সঙ্গে নিতে পারলে সরকার গড়তে পারবে বিজেপিও। সমীক্ষা অনুযায়ী ‘কিং মেকারের’ ভূমিকা থাকার কথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া এবং তাঁর পুত্র কুমারস্বামীর দল জেডিএস-এর।
তবে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলের সঙ্গে শনিবার ইভিএম-এর ফলাফল মিলে যাচ্ছে, তাহলে দুটি জিনিস নিশ্চিত ভাবে এখনই বলে ফেলা যায়। সেক্ষেত্রে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটক থেকেই প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেতে পারে কংগ্রেস।
ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল অতীতে যেমন বাস্তবের সঙ্গে বহুবার মিলে গিয়েছে, তেমনই না মেলার উদাহরণও কম নয়। কিন্তু এই জাতীয় সমীক্ষাগুলি থেকে রাজনৈতিক আভাস অবশ্যই পাওয়া যায়।
তাছাড়া দেশ জুড়ে ‘অপারেশন লোটাস’ এর নাম জানতে বাকি নেই কারও। কংগ্রেসের সঙ্গে এক্ষেত্রে বিজেপির আসনের যে ফারাক নজরে আসছে তা বিজেপির কাছে এমন কিছু বেশি নয়। ফলে একটা অপারেশন লোটাসেই তা তছনছ হয়ে যেতে পারে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকার। আস্ত শিবসেনাকে আড়াআড়ি দুটো ভাগে ভাগ করে দিয়েছে বিজেপি। ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
কর্নাটকে বিধানসভা বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছিল ‘নিউজ চাণক্য’, ‘রিপাবলিক টিভি’, ‘টিভি ৯ ভারত’, ‘জি নিউজ’, ‘এবিপি-সি ভোটার’, ‘ইন্ডিয়া টু’ডে’। আর বাস্তবে কর্নাটকের ফল বের হতে না হতেই মিলে গেল ‘ইন্ডিয়া টু’ডে’ বুথ ফেরত সমীক্ষা।
২০১৮ সালেও কর্নাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল বিজেপি। কিন্তু ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি তারা। বিজেপি-র আসনসংখ্যা ছিল ১০৪। সেখানে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও জেডিএস-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। পরে অবশ্য শাসক জোটে ফাটল ধরিয়ে কর্ণাটকের কুমারস্বামী সরকারের পতন ধরিয়েছিল বিজেপি। এবার অবশ্য কংগ্রেস এবং জেডিএস একক শক্তিতেই ভোটে লড়েছে। তবে ভোটের ফল দেখে বোঝাই যাচ্ছে কর্নাটকে কাজ করল না মোদি ম্যাজিক।