পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হ্যাকারদের প্রতারণা শিকার হয়ে পেটিএম মারফৎ ৩ লক্ষ টাকা খোয়ান এক চিকিৎসক পড়ুয়া। প্রতারিত ছাত্র তার ব্যাংক (সিটি ইউনিয়ন ব্যাংক) এবং পেটিএমকে ঘটনাটি জানান। উভয় সংস্থাই দায় এড়িয়ে যায়। এর পরে ওই ছাত্র মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় যুগান্তকারী রায় দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
মামলায় প্রতারিত ছাত্রকে আরবিআইয়ের অধীনে পেটিএমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। বিচারপতি আর এন মঞ্জুলা এই মামলায় আরবিআইকেকে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে পেটিএমকে ডাঃ পবিত্রাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থ ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত রায়ে জানিয়েছে, আরবিআই নির্দেশিকার অধীনে পেটিএম কোনওভাবেই গ্রাহকদের সুরক্ষার দায় এড়াতে পারে না।
ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াকে (আরবিআই) তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণের জন্য পেটিএম-কে নির্দেশ জারি করার আদেশ দেয় আদালত।
জানা গেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্নাতকোত্তর ছাত্র ডাঃ আর পবিত্রা ভি-এর সেভিংস অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। পরবর্তীতে ডিজিটাল পেমেন্ট ইন্টারফেস ব্যবহার করে সেই টাকা পেটিএম অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়। বেআইনিভাবে স্থানান্তরিত আমানত পুনরুদ্ধারে সহায়তা চেয়ে চিকিৎসক পবিত্রা অবিলম্বে তার ব্যাংক (সিটি ইউনিয়ন ব্যাংক) এবং পেটিএম-কে ঘটনাটি জানান। কিন্তু উভয় সংস্থাই প্রতারণামূলক লেনদেনের দায় অস্বীকার করে।
পেটিএম যুক্তি দিয়েছিল যে এটি আদালতের এখতিয়ারের বাইরে, আর আরবিআই দাবি করেছিল যে এটি নিয়ন্ত্রিত সংস্থা এবং তারা গ্রাহকদের মধ্যে লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে না।
মাদ্রাজ হাই কোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দেয়, পেটিএম, গুগল পে, আমাজন পে- এই সংক্রান্ত লেনদেনে গ্রাহকদের আগ্রহ রয়েছে। তাই এই ধরনের পেমেন্ট ব্যাংকগুলি তাদের গ্রাহকদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারে না। আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, যদিও পেটিএম একটি ব্যক্তিগত সংস্থা এবং রিট এখতিয়ারের জন্য উপযুক্ত একটি ব্যাংক নয়, তবুও এটি তার গ্রাহকদের সুরক্ষার দায় এড়াতে পারে না।