পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ডাক্তার। স্বামী ড. ওয়ালিউল ইসলাম পেশায় শল্যচিকিৎসক আর স্ত্রী ড. সঙ্গীতা দত্ত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। অসমের এই ডাক্তার দম্পতির বিরাট অট্টালিকায় তাঁদের সঙ্গে থাকতেন একজন পরিচারিকা, ৩ বছরের দুই নাবালিকা যমজ বোন আর কয়েকটি পোষ্য। সম্প্রতি এই ডাক্তার দম্পতির কোনও এক প্রতিবেশি খেয়াল করেন, কড়া রোদে এই দুই নাবালিকার একজনকে ছাদে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই ঘটনা নজরে পড়ার পর যোগাযোগ করা হয় গুয়াহাটির এক শিশু অধিকার কর্মীর সঙ্গে।
তিনি তড়িঘড়ি মাঠে নেমে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ধরা পড়ে এই উচ্চশিক্ষিত ডাক্তার দম্পতির অন্য চেহারা। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তিন বছরের ওই দুই নাবালিকাকে নিজেদের সঙ্গে রেখে নির্যাতন চালাতেন ওই ডাক্তার দম্পতি। দুই বালিকার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই দুই বোনকে দিনের পর দিন সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন তারা। এমনকি তাদের একজনের যৌনাঙ্গে পর্যন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। এই নিষ্ঠুর ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ থেকে শিশু অধিকার কর্মীরা। গত ৫মে ওই ডাক্তার দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে তাদের পরিচারিকাও।
কেন, কি উদ্দেশ্যে ওই দুই নাবালিকাকে আটকে রেখেছিল তারা, তা এখনও জানা যায়নি। ওই শিশুকন্যা দুটির বাবা-মায়েরও কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। কোন বিকৃত ভাবনার বশবর্তী হয়ে তাঁরা এমন কাজ করলেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।