পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সমাজবিরোধীরা দাপট দেখিয়ে জমি কিনে নেয়। অনেক সময় দখল করে নেয়। ফৌজদারি মামলা রয়েছে এমন অপরাধীদের জমি কেনা আটকাতে নয়া অর্ডিন্যান্স আনছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এই নয়া অধ্যাদেশে ক্রেতার ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হবে। তিনি কী উদ্দেশ্যে জমি কিনতে চাইছেন, সেটাও স্পষ্ট করতে হবে এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী। তবে এই অর্ডিন্যান্সে রাজ্যটির বাইরে থেকে যারা জমি কিনবে, তাদের জন্য কোনও বিধিনিষেধ আছে কি না তা জানা যায়নি। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই প্রস্তাবটি ক্যাবিনেটের সামনে রেখেছিলেন। মন্ত্রিসভা তাতে সিলমোহর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এর আসল উদ্দেশ্য সমাজবিরোধী নাকি মুসলিমরা, সে নিয়ে জল্পনা চলছে। কিছুদিন আগেই ধামি ‘ল্যান্ড জিহাদ’-এর অভিযোগ তুলেছিলেন। তার দাবি ছিল, উত্তরাখণ্ডে মুসলিমরা তথাকথিত লাভ জিহাদের মতো ল্যান্ড জিহাদ করছে। ১০০০ একরের বেশি জমি মাজার, মসজিদেই ‘দখল’ হয়ে আছে। বেশকিছু মুসলিম মহল্লাকেও টার্গেট করেছে বিজেপি সরকার। সেখান থেকে মুসলিমদের তারা বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে চায়। ওয়াকিফহাল মহলের মত, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার আসলে মুসলিমদের জমি কেনা রুখতে চায়। তারা জমি কিনতে গেলেই এই অর্ডিন্যান্স দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা হবে। জমি থেকে উচ্ছেদ করতেও অধ্যাদেশের ব্যবহার করা হতে পারে। লাভ জিহাদ রুখতে অধিকাংশ বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতেই কঠোর ধর্মান্তরণ আইন আনা হয়েছে। ফলে বিনা দোষে মুসলিম যুবকরা জেলে যাচ্ছে। এবার জমিজমার ক্ষেত্রেও তাদেরকে কোণঠাসা করতে চলেছে বিজেপি।