পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাকে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার। ডিআরডিও তে মূলত দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা করা হয়। প্রদীপ কুরুলকার ডিআরডিও-র একটি রিসার্চ ইউনিটের ডিরেক্টর। ফলে তাঁর কাছে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু নথি রয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র এটিএস। তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিকরেটস্ অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
ডিআরডিও-র আধিকারিকরাই প্রথমে সন্দেহ করেন যে তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাকে তথ্য পাঠাচ্ছেন। এরপর তারাই খবর দেন পুলিশকে। এরপর থেকেই তাঁকে নজরে রাখছিল পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানো শুরু করেন প্রদীপ। হোয়াটসঅ্যাপ কল ও ভিডিও কলের মাধ্যমেই এসব তথ্য পাঠাতেন তিনি। কি কি গুরুত্বপূর্ণ নথি তিনি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামী ৯ মে পর্যন্ত তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে মুম্বই এটিএস।
একটি সূত্রের মতে, হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছিলেন প্রদীপ কুরুলকার। পাকিস্তানের গোয়েন্দা এজেন্সির আধিকারিকরা মহিলা সেজে তাঁর সঙ্গে আলাপ করে। তাঁর প্রতি মহিলার আগ্রহ দেখে ভার্চুয়াল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজ্ঞানী। এরপর বেশ কিছু ভিডিয়ো কল রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু হয়। হুমকি দেওয়া হয়, তথ্য শেয়ার না করলে তাঁর প্রতিচ্ছবি নষ্ট করা হবে; ভারত সরকারকে তাঁর এই পাক যোগের কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ভয় পেয়ে তথ্য পাঠানো শুরু করেন বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার।