বিশেষ প্রতিবেদন: আফ্রিকার অন্যতম প্রাচীন মসজিদ হল তিউনিসিয়ার কায়রুয়ান জামে মসজিদ। ৫০ হিজরি সালে সাহাবি হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর অন্যতম সামরিক কমান্ডার উকবা বিন নাফি (রহ.) ৯ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর এটি নির্মাণ করেন। তিউনিসিয়ার কায়রুয়ান শহরও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বলে কায়রুয়ান জামে মসজিদকে উকবা জামে মসজিদও বলা হয়। কায়রুয়ান মসজিদ থেকেই আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম আযান উচ্চারিত হয়েছিল বলে জানা যায়। শুরুতে এই মসজিদের আয়তন ছিল অনেক ছোট। অত্যন্ত সাধারণভাবে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন শাসনামলে মসজিদের আয়তন ও শান-শওকত বৃদ্ধি পায়। মসজিদটিকে বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে একটি শক্তিশালী দুর্গ মসজিদটিকে বেষ্টন করে রেখেছে। কাইরুয়ান মসজিদে পাঁচটি গম্বুজ ও নয়টি প্রবেশদ্বার রয়েছে। এই মসজিদের মেহরাবের কাছে নিচু ছাদবিশিষ্ট আরেকটি কক্ষ রয়েছে। যার নাম মাকসুরা। খলিফাদের নামায আদায় এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য এই বিশেষ কক্ষ মাকসুরা নির্মিত হয়েছিল। এই কক্ষের ভেতরে দাঁড়িয়ে মসজিদে মুসল্লিদের দেখতে পাওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে এক জামাতে নামায আদায় করা যেত। কায়রুয়ান জামে মসজিদের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে ইট ও পাথর দিয়ে। এই প্রাচীরের ভেতরেই তৈরি হয়েছে বড় বড় স্তম্ভ। নিচে দাঁড়িয়ে মিনারের দিকে তাকালে তিন স্তরের কারুকার্যকেই সমান মনে হয়। কাইরুয়ান জামে মসজিদের মিম্বর খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এটি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পুরোনো মিম্বর হিসেবে পরিচিত।