পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানকে ‘মৌন কি বাত’ বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। অভিযোগ, উপরিউক্ত অনুষ্ঠানের ১০০ তম পর্বের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন নরেন্দ্র মোদি। অথচ চিন ও আদানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনও দিব্যি চুপ রয়েছেন তিনি। ‘টু’ শব্দ টুকু করছেন না।
এদিন কং নেতা আরও বলেন, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আসন্ন পর্বের জন্য যেই ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে প্রধানমন্ত্রী , সেই ভাবে যদি বিজেপি নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপালের পুলওয়ামা নিয়ে করা মন্তব্য, ক্ষুদ্রায়তন শিল্পের ধস ও নানান জাতীয় ইস্যু নিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা করতেন তাহলে দেশবাসী তাঁর অনেক প্রশ্নের উত্তর পেত।
উল্লেখ্য, প্রতি মাসের শেষ রবিবার রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে নিজের ‘মনের কথা’ বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের ইতিমধ্যেই ৯৯টি পর্ব হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার কথা।
এরই মাঝে আইআইএম রোহতক-এর একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে দেশের ১০০ কোটি মানুষ অন্তত একবার হলেও ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনেছেন। সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে মোদির এই সফল অনুষ্ঠানকে এক তরফা কথপোকথনের আখ্যা দিয়েছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যেখানে তিনি (মোদি) নিজেই প্রশ্ন ও উত্তরদাতা বলেও উঠেছে অভিযোগ।
আইআইএম রোহতক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসের শেষ রবিবার প্রায় ২৩ কোটি মানুষ একসঙ্গে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনেন। তাঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ জনতা হিন্দিতে বক্তৃতা শুনতে পছন্দ করেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন পেশার লোকজনদের থেকে ‘মন কি বাত’ সম্পর্কে তাদের মতামত জানা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৯৬ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন যে তাঁরা এই শো সম্পর্কে অবগত।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৪.৭ শতাংশ জন জানিয়েছেন, তাঁরা টিভিতেই এই শো দেখেছেন। অন্যদিকে ৩৭.৬ শতাংশ মানুষ শো দেখেছেন মোবাইলে। আর ১৭.৬ শতাংশ মানুষ রেডিও’র মাধ্যমে এই শো শুনেছেন।
এই শো যাঁরা শুনেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ৭৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা এই শো থেকে সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে জেনেছেন এবং তাঁদের বিশ্বাস, দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। শ্রোতাদের মধ্যে ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ৬২ শতাংশ বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে যে শ্রোতাদের সব থেকে প্রিয় টপিক হল বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ শানিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।