পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তীব্র দাবদাহের মধ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা। ভ্যাকসিন, সতর্কতার দাপটে এই মহামারি একটু কাবু হয়ে গেলেও নিজের রূপ বদল করে এখনও অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২,৫৯১টি নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার যা ছিল ১০, ৫৪২৷ নতুন কেসের সঙ্গে সঙ্গে, ভারতের অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫,২৮৬।
সরকারি তথ্য অনুসারে, সুস্থতার সংখ্যা ১০,৮২৭ এবং আজ পর্যন্ত মোট সুস্থতার সংখ্যা ৪,৪২,৬১,৪৭৬-টি। দৈনিক পজেটিভিটির হার ৫.৪৬ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক পজেটিভিটি হার ৫.৩২ শতাংশতে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে, অ্যাক্টিভ কেস ০.১৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে। বুধবার দিল্লিতে ১,৭৬৭ এবং মহারাষ্ট্রে ১,১০০টি নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।
মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫,৩১,১৯০-এ দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে কেরলে ১১জনের মৃত্যু হয়েছে৷
বর্তমানে করোনাভাইরাসে সুস্থতার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ। তবে বেড়েছে সুস্থতার হার। তবে মৃত্যুর সংখ্যা ফের বাড়তে থাকায় তার চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান অভিযানে এখনও পর্যন্ত দেশে দেশে ২২০.৬৬ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশের সঙ্গে বাংলাতেও করোনা সচেতনতায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এক নির্দেশিকায় বলেছে, বয়স্ক-মানুষ, শিশু, কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত, অন্তঃসত্ত্বাদের ভিড় এড়িয়ে চলতে। সকলে যাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে সেই দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কাশি, সর্দি, জ্বর হলে করোনা টেস্ট করার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন, তবে তাঁকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
নতুন নির্দেশিকায় পুরাতন নিয়মকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। করোনা আক্রান্তরা যাতে বিভ্রান্তিতে না পড়েন, তার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে চালু করা হয়েছে হেলফলাইন নম্বর। নির্দেশানুসারে, কোমর্বিডিটি রয়েছে, যে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা, শিশু ও বয়স্কদের এই সময় খুব সাবধানে থাকতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও রোগীর অবস্থা বাড়াবাড়ির পর্যায় চলে যায়, তাহলে তিনি যেন অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি হন। দরকারে স্বাস্থ্য দফতরের হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৬-এ ফোনও করতে পারেন বলে নির্দেশিকায় উল্লে’ করা হয়েছে।