পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না থাকলেও ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদ’ রেখা টেনে দিল কর্নাটকের একটি মন্দির। মুসলিম ব্যবসায়ীদের মন্দির প্রাঙ্গণে বার্ষিক মেলায় প্রবেশের অনুমতি মিলল না। কথিত আছে, কর্নাটকের বাপ্পানাডু মন্দির তৈরির কাজ দ্বাদশ শতকে মুসলিমদের হাতেই নির্মিত হয়েছিল, আর সেখানে মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল না। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রথম নয়, এই নিয়ে তৃতীয়বার একই নিয়ম জারি থাকল।
আট শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রতীক হওয়া সত্ত্বেও, মুলকির বাপ্পানাডু শ্রী দুর্গাপরমেশ্বরী মন্দির এই বছর ফের উদযাপনের সময় মুসলিম ব্যবসায়ীদের মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দিল না মন্দির কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারা মুসলিমদের বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পরেই মন্দির কমিটি মুসলিম ব্যবসায়ীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।
বাপ্পানাডু মন্দির কমিটির প্রধান, জৈন শাসকদের উত্তরসূরী দুগন্না সাওয়ান্ত বলেন, ‘আমরা এই বছরেও মুসলিম ব্যবসায়ীদের মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্থানীয়রা আমাদের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত।’
বুধবার, ৫ এপ্রিল উৎসবের সূচনা উপলক্ষে বাপ্পানাডু মন্দিরে একটি পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান ছিল।
মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল মুসলিম ব্যবসায়ীরা মেলা প্রাঙ্গণে দোকান দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে। তার আগে মন্দিরে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেও সংঘ পরিবারে সদস্যরা বাপ্পানাডু মন্দির কর্তৃপক্ষকে অহিন্দু ব্যবসায়ীদের মেলায় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেন।
উল্লেখ্য, বাপ্পানাডু মন্দির আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গা পরমেশ্বরী মন্দির নামে পরিচিত। শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, মুসলিম এবং খ্রিস্টান ভক্তদেরও কাছে মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই মেলা সমান আকর্ষণীয়।
মেলা উপলক্ষ্যে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এবছরেও লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন মুসলিম ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত তাদের ফের নিরাশার দিকে ঠেলে দিল।