পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আদানি ইস্যুতে সংসদে অচলাবস্থা বর্তমান। সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার ফের যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি তুলে কংগ্রেস সহ ১৩টি বিরোধী দল স্পিকারের সঙ্গে প্রথাগত চা-সভা বয়কট করল। সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত তেরঙ্গা মিছিল করেন তারা। আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের বক্তব্য, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি এবং বামেরা মিছিলে অংশ নেয়।
পদযাত্রার পরে এদিন কনস্টিটিউশন ক্লাবে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে আদানি ইস্যুতে সরকারের প্রতি আঙুল তুলে বলেন, ‘এই সরকারই সংসদের কাজকর্ম সচল করতে চায় না। কেন আদানি ইস্যুতে তদন্তে সংসদীয় যৌথ কমিটি গড়া হচ্ছে না? লোকসভায় রাহুল গান্ধি জানতে চেয়েছিলেন, কিভাবে আদানির সম্পত্তি আড়াই বছরে এত বেড়ে গেল। আদানি কোন দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ছিলেন? উত্তর দিলে কোনও ক্ষতি হত না, কারণ তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। যখন বিরোধীরা নোটিশ দিচ্ছে, তখন সরকার চুপ করে আছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’
এদিন লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও বিরোধীরা আদানি ইস্যুতে সরব হন। বিরোধী সদস্যদের হই- হট্টগোলের পর দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয় রাজ্যসভা।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘বিরোধীরা হইহট্টোগোল করে সংসদের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। কালো কাপড় পরে সংসদকে অপমান করা হচ্ছে।’ রিজিজু বলেন, ‘গোটা দেশ দেখছে রাহুল গান্ধি এমন একজন নেতা তার জন্য কংগ্রেস কর্মীরা কি কাণ্ড করছেন। আমরা সবাই দেখেছি কীভাবে কংগ্রেস সুরাটের আদালতে গিয়ে বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আর একজন কংগ্রেস নেতা বলেছেন, গান্ধি পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা নিয়ম থাকা উচিৎ।’
পাল্টা কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল বলেন, ‘সরকার নিজেই সংসদ চলতে দেয়নি। কেন তারা আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা করতে চায় না তার জবাব দিক।’
আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, ‘আদানি ইস্যুতে বিরোধীরা একজোট হয়েছে। সরকারের তরফে রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের অর্থ হল, তোমরা কেউ আর আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন তুলো না, পরোক্ষভাবে এই বার্তাই দিতে চায় তারা’।