পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশের কারাগারগুলিতে বন্দিদের উপচে পড়া ভিড়। ফলে বন্দিদের জীবনযাত্রার মান ভয়ঙ্কর, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। এছাড়াও শীর্ষ আদালত বলে, বিশেষ করে সেই মামলাগুলি, যেগুলির ক্ষেত্রে রয়েছে কঠোর সাজা। এই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার উপর জোর দিতে হবে। আদালতগুলিকেই ইনসাফ নিশ্চিত করতে হবে। পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, যদি সময়মতো বিচার শেষ না হয়, তাহলে বিচারপ্রার্থীর সঙ্গে অবিচার হয়। বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ মাদকদ্রব্য ও সাইকোট্রপিক সাবটেন্স অ্যাক্টের অধীনে আসামিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন।
শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘কারাবাসের আরও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। যে অভিযুক্তরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির, তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের জীবিকা নষ্ট হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক অভিযুক্ত তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পর্কও ভেঙে যায়।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জামিন মঞ্জুর করার জন্য কঠোর শর্ত আরোপ জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় হতে পারে। তবুও, যদি সময়মতো তদন্ত শেষ না হয়, তবে ব্যক্তির প্রতি যে অবিচার করা হয়, তাকেও অবহেলা করা উচিত নয়। বেঞ্চ বলেছে, ‘কারাগারগুলোতে বাড়ছে বন্দিদের ভিড়।
তাদের জীবনযাত্রার মান ভয়ঙ্কর। এক্ষেত্রে, সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে,ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো জানিয়েছে যে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত দেশে ৪, ২৫, ০৬৯ লক্ষ বন্দি রাখার ক্ষমতা থাকা জেলগুলিতে ওই সময় মোট ৫,৫৪, ০৩৪ জনেরও বেশি বন্দি কারাগারে ছিল। এর মধ্যে ১,২২,৮৫২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, বাকি ৪,২৭,১৬৫ জন বিচারাধীন।
শীর্ষ আদালত এক ব্যক্তিকে জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে বলে যে, ওই ব্যক্তি সাত বছর চার মাসেরও বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে বিচার শামুকের গতিতে চলছে, যেহেতু এখনও পর্যন্ত ৩০ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে, আরও ৩৪ জন সাক্ষীকে জেরা করা বাকি।