পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের হাতে বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ব্রিটেনে এক তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রধান বলেছেন, সামরিক বাহিনী এবং দেশের সুনাম রক্ষার জন্য এই তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ। লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে অত্যন্ত গুরুতর বলে বর্ণনা করেন।
দু’হাজার দশ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তানে মোতায়েন ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সেস (কমান্ডো) বাহিনীর পরিচালিত রাতের বেলার অভিযানগুলির ব্যাপারে এই তদন্তে অনুসন্ধান চালানো হবে। আইন বহির্ভূত হত্যা এবং সেগুলিকে পরবর্তীকালে ধামাচাপা দেওয়া, দুটি অভিযোগই এই তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে। বুধবার থেকে এই তদন্তের কাজ শুরু হয় এবং লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ এ ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক তথ্যসহ এগিয়ে আসার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
এই বিচারক গত বছর বিবিসির তৈরি কিছু প্রতিবেদন উল্লেখযোগ্য বলে বর্ণনা করার পর এই তদন্তটি শুরু হল। বিবিসির প্রতিবেদনগুলিতে প্রকাশ পেয়েছে যে আফগানিস্তানে ছয় মাস দায়িত্ব পালনকালে ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রনের হাতে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ৫৪ জন আফগান নিহত হয়েছেন। কমান্ডো বাহিনীর বিশেষভাবে ডেলিবারেট ডিটেনশন অপারেশন বা ডিডিও নামে পরিচিত নৈশ অভিযানের দিকে এই তদন্ত কমিটি নজর দেবে। লর্ড জাস্টিস হ্যাডন-কেভ জানান, তদন্তের অনেক শুনানির প্রকৃতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে শুনানির গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে।
আফগান কৃষক আবদুল আজিজ উজবাকজাই, যার ছেলে এবং পুত্রবধূকে ২০১২ সালে এক নৈশ অভিযানে ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সেসের সদস্যরা হত্যা করেছিল, এবং যার নাতি ইমরান এবং বিলাল ওই অপারেশনে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল। তিনি বলেছেন, এই তদন্ত আমার ছেলে ও পুত্রবধূ, এবং ইমরান ও বিলালের বাবা-মাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। কিন্তু ১১ বছর পর আমি এখনও চাই যে ব্রিটিশ সৈন্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এগিয়ে এসে সত্য প্রকাশ করুক।