পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে দুদিনের সফরের ভারতে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সোমবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তাঁরা জি৭ এবং জি২০-র নিজ নিজ সভাপতিত্বের জন্য অগ্রাধিকার নিয়েও আলোচনা করবেন।
বৃহস্পতিবার, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার ও কোভিড-পরবর্তী একটি শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ বিশ্বের জন্য ভারত-জাপান অংশীদারিত্বকে আরও প্রসারিত করার এটি একটি সুযোগ।
রবিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেছিলেন, তার সফরের লক্ষ্য হবে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব” আরও গভীর করা।
প্রসঙ্গত, ভারত-জাপান অংশীদারিত্ব প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা ভারত-জাপান বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উভয় দেশ ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি চুক্তির অধীনেও স্থির অগ্রগতি করছে।
উল্লেখ্য, ১৫ বছর আগে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ভারতে এসেছিলেন। সে সময় তিনি ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতার কথা বলেছিলেন।