পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে অনেকদিন ধরেই আক্রমণ করে চলেছেন কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। শনিবার প্রাক্তন বিচারপতিদের একাংশকে সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। সুর চড়িয়ে রিজিজু বলেন,‘দেশ বিরোধী চক্রে জড়িত প্রাক্তন বিচারপতিদের একাংশ।’ তাঁর এমন দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। শনিবার রিজিজু যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রবিবার তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন উদ্ধবের শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, রিজিজুর এই মন্তব্য প্রমাণ করছে কিভাবে বিচারব্যাবস্থার ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কীভাবে প্রাক্তন বিচারপতিদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাও স্পস্ট রিজিজুর এই মন্তব্যে।
শনিবার রাজধানীতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিজিজু বলেন,অবসরপ্রাপ্ত কিছু বিচারক এবং কিছু সমাজকর্মী আছেন যারা ‘ভারত-বিরোধী দলের অংশ।’ তারা চাইছেন ভারতীয় বিচার বিভাগ বিরোধী রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুক। রবিবার রিজিজুর এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সামনে সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘এটা কি ধরনের গণতন্ত্র? একজন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কি বিচার বিভাগকে হুমকি দেওয়া মানায়? যেসব বিচারক সরকারের কাছে মাথা নত করতে অস্বীকার করছেন তাদের এইভাবে হমকি দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আসলে বিচার বিভাগকে চাপে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সরকারের সমালোচনার অর্থ দেশের সমালোচনা করা নয়। সে কথাও পরিস্কার করে উল্লেখ করে আসলে সঞ্জয় রাউত এদিন রাহুল গান্ধির মন্তব্যের প্রতি ফের একবার নৈতিক সমর্থন জানান। উদ্ধবের সাংসদ বলেন, রাহুল দেশের গণতন্ত্রের বেহাল অবস্থা নিয়ে বিদেশের মাটিতে মুখ খোলায় বেজায় গোঁসা হয়েছে বিজেপির। তারা বিজেপির সমালোচনাকে দেশের সমালোচনা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তারা রাহুল গান্ধোর সাংসদ পদ বাতিলের ছক পর্যন্ত কষছে।
রাহুল গান্ধির কি তবে ক্ষমা চাওয়া উচিত? এর জবাবে রাউত বলেন, রাহুল গান্ধি কোন যুক্তিতে ক্ষমা চাইবেন? এর আগেও বিজেপি নেতারা বিদেশের মাটিতে অনেকে আপত্তিকর কথা বলেছেন, কি তার জন্য তো তাঁরা ক্ষমা চাননি। তাহলে কোন যুক্তিতে রাহুল গান্ধি ক্ষমা চাইতে যাবেন।