পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তাঁর কৃতিত্বে গৌরবান্বিত বিশ্ব। এহেন অ্যালেস বিয়ালিৎস্কিকে জেলে পুরল বেলারুশ। ১০ বছরের জন্য জেল হয়েছে তাঁর। একটি গ্রুপের হয়ে পাচার করা এবং পাচারে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও একে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী অ্যালেস বিয়ালিৎস্কি। তার ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় শুক্রবার তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সরকার।
নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের সরকারবিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছেন। এছাড়া বেশ কিছু বে আইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি বলে অভিযোগ তুলেছে দেশটির সরকার। অ্যালসকে নিয়ে বেলারুশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের চরম নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অ্যালেসের বয়স ৬০। তিনি বরাবরই মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের পক্ষে তার প্রচার চালিয়ে এসেছেন বেলারুশে।
অন্য দিকে বেলারুশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, নিজের দেশে শক্ত হাতে বিরোধীদের বরাবর দমন করে এসেছেন আলেকজান্ডার।
যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের হয় জেলবন্দি করে। নয়তো দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে চুপ করিয়ে দিয়েছেন।
নোবেলজয়ীর জেল প্রসঙ্গে সমালোচকরা বলেছেন, এই বেলারুশের কাছে দেশের নোবেলজয়ীর প্রতি এমন আচরণই আশা করা যায়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নোবেলজয়ীকে জেলে পোরা হয়। গত অক্টোবর মাসে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সময়ও তিনি জেলে ছিলেন। তাঁর হয়ে তাঁর স্ত্রী নেবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। ১৯৮০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেলারুসের স্বাধীনতার পক্ষে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ১৯৯০ সালে বেলারুশ স্বাধীনতা পায়। এর আগে ২০১১ ও ২০১৪ সালেও তিনি জেলে ছিলেন।