পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন কনরাড সাংমা। আগামী ৭ মার্চ শপথ নেবেন তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন সাংমা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি অনুষ্ঠানে শপথ নেওয়ার কথা আছে তাঁর।
সরকার গঠনের জন্য সমর্থন চেয়ে ইতিমধ্যেই সাংমা ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখনই তাঁকে সমর্থন করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর।
বৃহস্পতিবারে ফল প্রকাশের পর মেঘালয়ের একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছে এনপিপি। জয়ী হওয়ার পরেই এনপিপি প্রধান তথা রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা শুক্রবার মেঘালয়ের গভর্নর ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারপরেই জানানো হয়েছে কবে তিনি মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
সরকার গঠনের কথা বলে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সাংমা দাবি করেছেন যে, ৬০ সদস্যের বিধানসভায় তাঁর পক্ষে ৩২ জন বিধায়ক সহ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে সমর্থক দলগুলির বিবরণ তিনি দেননি।
শুক্রবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংমা বলেছেন, আমাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই তাদের সমর্থন বাড়িয়েছে। অন্য কেউ কেউ তাদের সমর্থনও দিয়েছে।
কনরাড সাংমা ট্যুইটে লিখেছেন, ‘মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগপত্র মাননীয় রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছি। শ্রী ফাগু চৌহান জি, নতুন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৯টি আসনে ভোট হয়েছে। সেখানে সাংমার দল ২৯টি আসনে জিতেছে। ইউডিপি যারা কনরাড কে সাংমা সরকারের মিত্র তারা ১১টি আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে সামনে এসেছে। তবে ২০১৮ সালে ইউডিপি ৬টি আসনে জিতেছিল। প্রথমবার মেঘালয়তে এসেই পাঁচটি সিট দখল করেছে তৃণমূল।
এক্সিট পোলের পরপরই, সাংমা বলেছিলেন যে তিনি রাজ্যে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য জোটের জন্য প্রস্তুত। বুধবার বিজেপি নেতা এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংমার সঙ্গে দেখা করেন, তাদের মধ্য জোট নিয়ে আলোচনা হয়।