পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আন্দোলনের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। শাসকবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঝেমধ্যেই গর্জে ওঠে জেএনইউ চত্বর। মোদি-বিরোধী বিবিসি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়েছে সেখানে। কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, ঐশী ঘোষ, শেহলা রাশিদরা উঠে এসেছেন জেএনইউ ছাত্র আন্দোলন থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির এ হেন অতিসক্রিয়তাকে ভালো চোখে দেখছে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। তাই নানা ধরনের বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের উপর।
শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার বিক্ষোভ ও ধরনা রুখতে নয়া বিধি চালু করল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। নতুন ‘একুশে আইনে’ বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধরনা, অনশন বা প্রতিবাদে অংশ নিলেই পড়ুয়াদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আর কোনও পড়ুয়া যদি ঘেরাও বা হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িয়ে যান, অপমানজনক আচরণ করেন তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকি তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করাও হতে পারে। কেড়ে নেওয়া হতে পারে অভিযুক্তের যাবতীয় ডিগ্রি সার্টিফিকেট। জেএনইউ এক্সিকিউটিভ কমিটি এই বিধিতে সিলমোহর দিয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন -প্রতিবাদ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহল।
নতুন বিধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এ প্রসঙ্গে ১৭টি গুরুতর অপরাধের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অবৈধ জমায়েত, জোরপূর্বক হস্টেল দখল করে রাখা, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশালীন এবং আপত্তিকর শধ বলা কিংবা লেখা ইত্যাদি।
নয়া বিধিতে এও বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র তৈরি হবে, তার একটা প্রতিলিপি তার অভিভাবকের কাছেও পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই নয়া কঠোর নিয়মের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্যাম্পাসে সমালোচনা শুরু হয়েছে।