পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাবকাণ্ড নিয়ে গোটা দেশ ছিঃ ছিঃ করে উঠেছিল। এবার প্রায় সেই রকমই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্নাটকের সরকারি একটি বাস। এখানেও মহিলাযাত্রীর সিটে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে। বাসটি মাঝপথে খাবারের জন্য হল্ট দেয়। তখনই এই কাণ্ড ঘটান ওই মদ্যপ যাত্রী। মহিলাযাত্রীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে অভিযুক্ত যাত্রীকে ধরে ফেলেন সহযাত্রীরা। কর্নাটকের রাজ্যসরকার পরিচালিত কেএসআরটিসির একটি বাসে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কর্নাটকের কেএসআরটিসির বাসে গলেশ ইয়াদওয়ার্দ নামে ৩২ বছর বয়সী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা যাত্রীর আসনে। মঙ্গলবার রাতে হুব্বলির কাছে এই নন এসি বাসটিতে এই ঘটনা ঘটে। বাসটি ছিল স্লিপার ক্লাস। যে বাসে এই ঘটনাটি ঘটেছে তার নম্বর কেএ-১৯ এফ-৩৫৫৪। বাসটি বিজয়পুরা থেকে ম্যাঙ্গালুরু পর্যন্ত বাস যাচ্ছিল।
স্লিপার ক্লাসের ওই বাসটি হুব্বলির কিরেসুরের হল্ট দেয় যাত্রীদের ডিনারের জন্য। তখনই এই কীর্তি ঘটান ওই মদ্যপ যাত্রী। সহযাত্রীরা প্রতিবাদ করতেই গলেশ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। তবে ওই মহিলাযাত্রী কোনও অভিযোগ দায়ের না করায়, ওই বাসটি ফের রওনা হয় গন্তব্যের দিকে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গলেশ ইয়াদওয়ার্দ পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বাসের ২৮-২৯ নম্বর সিট ছিল তাঁর। আর ওই মহিলার সিট নম্বর ছিল ৩। কর্নাটকের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন এই কাণ্ড ঘটান, তখন বাসে কেউ ছিলেন না। মহিলা যাত্রী বাসে উঠে দেখেন মূত্রত্যাগ করছেন অভিযুক্ত। তার পরে তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাবকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানেও শংকর মিশ্র নামে এক মদ্যপ যাত্রী বয়স্কা এক মহিলাযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেন। পরে দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।