পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য উঠে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, তরুণীকে খুনের পর তাঁর দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন দিল্লি পুলিশেরই এক কনস্টেবল।
উল্লেখ্য, যে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নিক্কিকে খুন এবং দেহ লোপাটে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠছে, তিনি আর কেউ নন, সাহিলেরই তুতো ভাই নবীন।
পুলিশের দাবি, নিক্কিকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, সাহিলের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর নিক্কির দেহ ধাবা থেকে সরিয়ে লোপাট করে দেওয়ার কথা ছিল।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ভেবেছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সকলে ব্যস্ত থাকবে। ধাবাতেও এই ক’দিন খুব একটা যাতায়াত করবে না তারা। ফলে অনুষ্ঠানের পরই সেই দেহ সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমনকি বিয়ের ঠিক আগের দিনই নিক্কিকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল। তরুণীকে খুনের পর তাঁর দেহ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার বিষয়টিও আগে থেকে ভেবে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্তরা ভেবেছিলেন যে, ফ্রিজে দেহ রাখলে পচন ধরবে না। কোনও গন্ধও বেরোবে না। ফলে কারও সন্দেহ হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনই দিল্লির বাইরে হাইওয়ের ধারে সাহিলের পারিবারিক ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয় নিক্কি যাদব নামক বছর ২৩-র এক যুবতীর দেহ। খুনের তিনদিন পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে নিক্কির দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাহিল গেহলটকে। শুক্রবারই খুনে মদদ দেওয়ার অভিযোগে সাহিলের বাবা সহ পরিবারের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, তদন্তে পুলিশের হাতে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তা হল, সাহিল ও নিক্কি বিবাহিত ছিলেন। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসেই তাঁরা নয়ডার একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সাহিলের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করেন তারা। এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না নিক্কি। বিয়ের দুইদিন আগে সাহিলের অন্যত্র বিয়ের কথা জানতে পারে তিনি। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে তুমুল বচসা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি, ওই দিনই সাহিলের অন্য এক যুবতীর সঙ্গে বাগদান হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা বচসার পরেই গাড়ির মধ্যেই চার্জিং কেবল গলায় জড়িয়ে নিক্কিকে খুন করে সেইদিনই সাহিল তার পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়েও করেন।