দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাটঃ কাবুলিওয়ালার মন ভারী, রিস্তেদার দেশে। হাজার হাজার মাইল দূরে পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম সত্তিকা। কাবুল থেকে চার পাঁচ ঘন্টা বাস রাস্তা। সেখানেই থাকেন চাচা, চাচি, বড় ভাই শের আফগান। পঁচিশ বছর ধরে রামপুরহাটের দশ নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন। কিন্তু সেই পাহাড়ে ঘেরা কাবুলের জন্য মন খারাপ করে
কাবুলিওয়ালার দেশে মন পড়ে আছে কাবুলিওয়ালা রহমান খানের। রহমান খানের অবস্থা রবি ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্পের মিনির রহমত খানের মতো।প্রায় পঁচিশ বছর ধরে বাড়ির ছোট ছোট সদস্যদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজ বেশী করে মনে পড়ছে তাদের কথা। যদিও নিজের পরিবার থাকে দিল্লীতে। কেমন আছেন এখানে? জিজ্ঞেস করতেই, বললেন খুব ভালো। আমরা আর ওই দেশে যেতে চাই না। ভারত সরকার আমাদের এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিক। যদিও তালিবানরা বলছে, আগের পাঁচ বছরের সরকারের মতো ওরাও সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি করবে না, দেখা যাক। একই কথা, সেলিম খান ও গুলশান খানের। তারা তিনজনেই এক সঙ্গে থাকেন। অন্যদিকে, বোলপুরের জাম্বুনির মাদ্রাসা পাড়ায় সপরিবারে থাকেন ইদ্গুল খান। কিন্তু দেশে থাকে তাঁর দিদির পরিবার। টিভিতে খবর দেখে তাঁরও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। বছর দুয়েক আগে দিদি জামাইবাবু তাঁর কাছে এসেছিলেন। এখন তাঁরা কেমন আছে কে জানে! তিনি বলেন, নব্বইয়ের দশকে একই অবস্থা হয়েছিল সেখানে। এখন তাঁরা কেমন আছেন, সে খবর তাঁর কাছে নেই। ভারত সরকারের কাছে তাঁর আবেদন তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য।