পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটিডের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর ফের কাঠগড়ায় চোখের ড্রপ। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রামিত ওই চোখের ড্রপ ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে খবর। এমনকী ব্লাডস্ট্রিম সংক্রমণের জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি। ভারতীয় সংস্থার তৈরি এই ড্রপ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এর পরেই শুক্রবার চেন্নাইয়ের ওই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার কারখানায় গভীর রাতে হানা দেয় তামিলনাড়ু ড্রাগ কন্ট্রোলার ও এবং সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির সদস্যরা। গ্লোবাল ফার্মা হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ইতিমধ্যেই ওই কারখানায় চোখের ড্রপ তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্লোবার হেলথ কেয়ারের তরফে ডিস্ট্রিবিউটর, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরো বিক্রেতা এবং গ্রাহকদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, পণ্যটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার জন্য। তারপরেও এটি কারও কাছে থাকলে, তারা যেন এই ওধুষের ব্যবহার না করেন।
সেখানে তৈরি চোখের ড্রপে ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের অভিযোগ তোলেন আমেরিকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলার পিভি বিজয়লক্ষ্মী জানিয়েছেন, আমেরিকায় ওই চোখের ড্রপের যে ব্যাচ পাঠানো হয়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যে কাঁচামাল দিয়ে ওযুধ তৈরি করা হয় তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা আমেরিকার থেকে নমুনা আসার অপেক্ষা করছি। এ নিয়ে প্রাথমিক একটি রিপোর্ট সরকারকে জমা দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় যে ওষুধগুলি ব্যবহার করে সংক্রমণ ঘটেছে সে গুলি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু যে সমস্ত ওষুধগুলি এখনও খোলা হয়নি, তার রিপোর্ট এখনও আসেনি। আমরা সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওই চোখের ড্রপের আমদানি বন্ধ করেছে। আমেরিকা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্টেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, চোখের সংক্রমণ, স্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হারানো এবং রক্তের সংক্রমণ সংক্রান্ত মৃত্যু-সহ তারা সব মিলিয়ে ৫৫টি ঘটনার হদিশ পেয়েছেন। মার্কিন সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, দূষিত ওই ওষুধ ব্যবহারের ফলে সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন কী মানুষ অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।