পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রায় ২০ বছর পর আমেরিকা পরিচালিত কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পাকিস্তানি ও মার্কিন নাগরিক মাজিদ শওকত খান। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তাকে মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন এই তথ্য জানিয়েছে।*২০০৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মাজিদ খান-সহ মোট ৩৪ বন্দিকে আনা হয়েছিল গুয়ান্তানামো কারাগারে।*পেন্টাগন জানিয়েছে, এই ৩৪ জনের মধ্যে ২০ জন মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। মাজিদ খানকে ২০০৩ সালে পাকিস্তানের করাচি থেকে বন্দি করা হয়। পাক সরকারই মাজিদকে সিআইএ-র কাছে তুলে দিয়েছিল। এর তিনবছর পর তাকে নেওয়া হয় গুয়ান্তানামোর জেলে। এক বিবৃতিতে মাজিদ খান জানিয়েছেন, মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজে তিনি তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চান। বলেন, ‘মনে হচ্ছ আজ যেন আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। আমি আবার মুক্ত পৃথিবীতে ফিরে এসেছি।’ মাজিদ আরও বলেন, ‘আমি এখনও বিস্মিত। কারণ আমার মুক্ত হতে এত বেশি সময় লেগেছে যে, আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।’ আদালতের রায়ে বলা হয়, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সহযোগিতা করায় তার সাজা লাঘব করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ঘোষিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ পরিচালনাকালে বিশ্বজুড়ে গ্রেফতার হওয়াদের বিভিন্ন দেশ থেকে এনে গুয়ান্তানামো*বে-র কারাগারে বন্দি করে রাখা শুরু হয়। সে-বছরই কারাগারটি চালু হয়। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে পশুসুলভ আচরণ ও তাদের নির্যাতনের জন্য বিশ্বে কুখ্যাত হয়ে যায় গুয়ান্তানামো। কোনও বিচারের ব্যবস্থা না করেই বছরের পর বছর ধরে এই জেলে বন্দিদের আটকে রাখা হয়। মার্কিন সরকার সেসব বন্দিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনলেও তারা তা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি।