পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: অসমের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলি দিয়েই শুরু হল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ‘বাল বিবাহ’ রোধ অভিযান। আগেই ঘোষণা হয়েছিল ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ধরপাকড় শুরু হবে। সেইমতো ২ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে অভিযান চালিয়ে ৪০০৪টি অভিযোগ খাড়া করা হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বিবাহিত পুরুষ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি ট্যুইটার মারফত জানিয়ে দিয়েছেন কোন জেলায় কতগুলি অভিযোগ একদিনে পাওয়া গিয়েছে। জেলার তালিকা ও এফআইআর সংখ্যা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়ে যাবে। জনগণ যেন এই অভিযানে সহযোগিতা করেন।
যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতেই অভিযোগের সংখ্যা বেশি রয়েছে। পুলিশের ডিজি জি পি সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে শুরুও করে দিয়েছে। এই নিয়ে আরও তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে শীঘ্রই। তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, ধুবড়িতে জেলায় ৩৭০, হোজাই ২৫৫, মরিগাঁও ২২৪, কোকড়াঝাড় ২০৪, বাকসা ১৫৩, দক্ষিণ সালমারা ১৪৫, বাজলি ১৩২, কার্বি আংলং ১২৬ এবং দারং-এ ১২৪টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তালিকার মধ্যে থাকা অধিকাংশ এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বহু স্বামী গ্রেফতার হবে শীঘ্রই। আজকের অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে না। যেসব এলাকায় বেআইনি বিবাহ বেশি সেইসব এলাকায় অভিযান চলবে। সেখানে মুসলিম থাকতে পারে কিংবা উপজাতি আদিবাসী সকলকেই গ্রেফতার করা হবে। উল্লেখ্য, পকসো আইনে ১৪ বছরের নিচে কিশোরীর বিয়েকে বেআইনি বলা হচ্ছে। ২০০৬ সালের শিশু বিবাহ রোধ আইনেও এই বিবাহ বেআইনি। অসম সরকার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে ১৪ বছরের নিচে বিয়ের খবর পেলেই গ্রেফতার করতে হবে। ইতিপূর্বে বহু স্থানে স্বামী, শ্বশুর এবং এমনকী বিয়ের কাজিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঋতুমতী বলে কিশোরীদের বিবাহের অনুমতি নিয়ে যারা সওয়াল করতেন, তারা এখন আতঙ্কে মুখ খুলতে পারছেন না অসমে।