পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে গোটা দিল্লির জুড়ে কড়া নিরাপত্তা। মোতায়েন ৬ হাজার পুলিশ, চলবে ১৫০ সিসি ক্যামেরার নজরদারি।
এবারে এই দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ এল-সিসি। বুধবার তিনি ভারতে আসেন। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও, বৃহস্পতিবার সকালে লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এ দিন মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি সকালে প্রথমে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন। বিকেলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হবে উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়েরও। আগামী ২৭ জানুয়ারি মিশরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রেসিডেন্ট সিসি।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় দিল্লির বিজয় চক থেকে শুরু হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। লালকেল্লা হয়ে তা শেষ হবে কর্তব্যপথে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লি পুলিশের তরফে ট্রাফিক সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি করেছে। সকালে বিজয় চক থেকে কুচকাওয়াজ শুরু হবে। এরপরে তা লালকেল্লা, তিলক মার্গ, বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ, সি-হেক্সাগন, সুভাষ চন্দ্র বসু মার্গ হয়ে কর্তব্যপথে এসে শেষ হবে। নিরাপত্তার জন্য বুধবার সন্ধে ৬টা থেকেই কর্তব্যপথে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
কুচকাওয়াজের পাশাপাশি আজ লালকেল্লায় ‘ভারত পর্ব’ বলে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানও শুরু হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি অবধি চলবে এই অনুষ্ঠান।
পিএমও দফতর সূত্রে খবর, এ দিন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে দেশের বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপরে তিনি লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।