পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : সারা বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার মধ্যেও ভারত এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। করোনা মহামারির সময় যেখানে সমগ্র বিশ্ব থমকে গিয়েছিল তখন সেই বিপর্যয়ের মধ্যেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিপর্যয়ের মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারতের জিডিপি ৬.৯ শতাংশ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্লেষকদের মতে, করোনা মহামারির সময় থেকে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশকেও অর্থনীতির বিপর্যয় নিয়ে ভাবতে হয়েছে, সেখানে ভারতে দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধার ঘটতে দেখা গেছে। দেশের এই উন্নতি সূচককে দেখেই আগামীদিনে ভারতকে নেতা বলে মনে করছে গোটা বিশ্ব।
শুক্রবার সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে ভারতের এই উন্নতিতে ভূয়সী প্রশংসা করলেন ফোরামের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াব। তিনি আরও বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব ভারত একেবারে সঠিক সময়ে পেয়েছে। কারণ, বর্তমান বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফোরামের পক্ষ থেকে এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াবের এক বিশেষ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। ক্লসের সেই বিবৃতি অনুযায়ী, “আমার ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল এবং সেই দেশের বহু শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। জলবায়ুর ক্ষেত্রে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য পদক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে অবদান, মহিলা-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি এবং ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্ব প্রশংসনীয়।
উল্লেখ্য, এইবারের ইকোনমিক ফোরামের থিম ছিল, ভাঙাচোরা বিশ্বে সহযোগিতা। সেই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে, যে ভারত অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সেই প্রশংসাই করলেন ফোরামের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াব। গত ৩৮ বছর ধরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সদস্য ভারত। এক বছরের জন্য জি২০ সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। জি২০-র সভাপতি থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও বাড়াতে প্রস্তুত ইকোনমিক ফোরাম।