পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয় উত্তর ২৪ পরগনার নারকেলবেড়িয়ায়। বাঁশেরকেল্লার ধ্বংস ভূমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ভারতের মুক্তি সংগ্রামের প্রথম শহীদ সৈয়দ মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীরের বংশধর সৈয়দ মীর মেরাজ হোসেন সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। নারকেলেবেড়িয়ার ভূমিপুত্র মাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকারী রোহন মন্ডলকে শহীদ তিতুমীর মিশন এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঐতিহ্য বহনকারী নারকেলবেড়িয়া গ্রামকে হেরিটেজ ভিলেজ হিসেবে ঘোষণার দাবি তোলেন মিশনের সম্পাদক রবিউল হক, বিশিষ্ট সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন, শিক্ষক ও সাংবাদিক এনামুল হক প্রমুখরা। স্বরূপনগর ইসলামিয়া পাঠাগারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা রওশন আলী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ নুর ইসলাম সরদার, গ্রন্থাগারিক ইয়াছিন আলি মণ্ডল সহ পাঠাগারের কমিটির সদস্যরা। সারাদেশ যখন ভারতবর্ষের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালনে শামিল হয়েছে, সেই উৎযাপন থেকে বাদ গেল না দেশের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকরা। বসিরহাট প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে মহাসাড়ম্বরে পালিত হল দেশের স্বাধীনতা দিবস। যখন দেশের তেরঙ্গা লালকেল্লার উপর উড়ছে, তখন দেশের জাতীয় কেতন উঠল বসিরহাট প্রেস ক্লাবের বেদীতেও। বসিরহাট প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রাক্তন সভাপতি তপন বন্দোপাধ্যায়ের সুপুত্র সোমনাথ বন্দোপাধ্যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বসিরহাট প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি বসিরহাট প্রেস ক্লাবের প্রয়াত সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যেও দিনটি উৎসর্গ করা হয়।
বসিরহাট প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রয়াত সাংবাদিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপুত্র সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বসিরহাট প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্মরণে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ছন্দক বাইন, সম্পাদক সঞ্জীত চক্রবর্তী সহ অন্যরা। বারাসতের সাউথ কাজীপাড়ার দাউদিয়া কোরআনিয়া মক্তবের শিশুদের নিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রায়হান।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুফতি কামাল খান কাসেমী। সঙ্গে ছিলেন মক্তবের শিক্ষক আনিসুর রহমান সাহেব ও এলাকার মুসুল্লিরা। তাছাড়া সারে জাঁহা সে আচ্ছা পরিবেশন করে মক্তবের দুই ছাত্রী। পরে জাতীয় পতাকা হাতে এলাকা পরিক্রমা করা হয়।