পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা হোক বা কানপুরের বাসিন্দা, সকলেই একমত হচ্ছেন, গত ১০ বছরে শীতের এমন দৌরাত্ম্য তাঁরা কেউই দেখেননি। বিগত ১ সপ্তাহ থেকে কাঁপছে গোটা উত্তরভারত। পারদ দেখাচ্ছে, কানপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির দাগ ছুঁয়েছে। পারদ পতনে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হৃদরোগীরা। কানপুরের ‘হৃদয় রোগ সংস্থান’-এর হিসেবে, ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের মতে, প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য গত এক সপ্তাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ওই হাসপাতালে প্রতিদিন ওপিডিতে ৬০০ এর বেশি রোগী আসছেন হার্টের সমস্যা নিয়ে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে গত সপ্তাহে কানপুরে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই শীতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন, বয়স্ক ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা রোগীরা। কার্ডিওলজির অধ্যাপক ডা. বিনয় কৃষ্ণ’র মতে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় শিরার ভেতর রক্ত জমাট বাঁধছে। যার কারণে রক্তচাপ বেড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
ডা. কৃষ্ণ জানিয়েছেন, সুস্থ থাকতে হলে, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনোই ভালো। বাড়িতে থাকলেও গরম পোশাক পরতে হবে। এই সময় শরীর গরম রাখা খুব দরকার। বয়স্কদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া যাবে না। উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা যাদের আছে, তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আপাতত মর্নিং ওয়াক বন্ধ রাখতে হবে। শাক-সবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যোগ ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে। বুকে বা মাথায় ব্যথা অনুভব করলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ বলে মত ডা. বিনয় কৃষ্ণ’র।