দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: ধর্ষণের অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। আদালতের নির্দেশে দুদিনের পুলিশি হেফাজত হয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের। চলতি বছরের ২৮ জুলাই এক মহিলার সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস করে বিয়ে না করার অভিযোগে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রী বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ দাসের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি বোলপুর শহরে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে ১৩ অগাস্ট রাতে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। শনিবার বোলপুর এসজিএম আদলতে তোলা হয় অভিযুক্তকে। পুলিসের তরফে অভিযুক্তর ৫ দিনের পুলিস হেফাজত চাওয়া হয়। বিচারক ২ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। ১৬ অগাস্ট অভিযুক্ত চিকিৎসককে ফের আদালতে পেশ করা হবে।
অভিযোগকারিনীর মহিলা আইনজীবী শাম্ব্য ভট্টাচার্য বলেন যে, চিকিৎসক সিদ্ধার্থ দাস বিবাহিত ও তারও একটি ডিভোর্স মামলা চলেছে। নির্যাতিতা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে নিজের বিবাহিত জীবন গোপন রেখে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার সহবাস করে।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দুইবার ওই চিকিৎসকের সঙ্গে মহিলার শারীরিক সম্পর্ক হয়। ফেব্রুয়ারিতে থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়নি। পরে আঠাশে জুলাই থানায় নিগৃহীতা মহিলা ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে মহিলার মেডিক্যাল করার জন্য হাসপাতালে গেলে সেখানে অভিযুক্ত চিকিৎসক মহিলাকে হুমকি দেন।
একইভাবে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মতিউর রহমান বলেন, মহিলা আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। কারণ যে মহিলা অভিযোগ করেছে বোলপুর আদালতে, তার পূর্বের বিবাহ সম্পর্কের ডিভোর্সী মামলা চলছে। সেটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। উনিও আইনভঙ্গ করে চিকিৎসকের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।