দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীর কর্ম সমিতির বৈঠক বয়কট করলেন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ। জানা গেছে, নিয়ম মাফিক প্রধানমন্ত্রী মনোনিত সদস্যকে সাত দিন আগে মিটিংয়ের এজেন্ডা এবং আগের মিটিংয়ের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানোর কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। তাই অপমানিত বোধ করে এদিনের কর্ম সমিতির বৈঠকে অংশ না নিয়ে, তার প্রতিবাদ পত্র পি এম ও অফিসে এবং ও বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরি কমিশন ইমেল মারফত পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে পরিস্কার বলা হয়েছে কেন এই বিশ্বভারতীর ইসি বৈঠক তিনি অংশগ্রহণ করেনি।
বিশ্বভারতীর ইসি সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, ১১ অগাস্ট বিশ্বভারতীর রেজিস্টার তরফে অনেকে রাতে একটি ইমেল করে। যেখানে শুধুমাত্র ইসি বৈঠক হবে ১৪ অগাস্ট বেলা ১১ টা নাগাদ।
উল্লেখ করা হয় মাত্র ৫/৬ ঠি অ্যাজেন্ডা। কিন্ত তার মিনিটস নিয়ে সম্পূর্ণ অবগত রাখা হয় নি পূর্বের “অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিয়ে বৈঠক ডাকা হয়। উপচার্য বৈঠক করে অনস্পট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেন। কোনও অধ্যাপক বা ছাত্রকে যেভাবে সাসপেণ্ড করে দেওয়া হয় এবং তার বিরোধিতা করা যায় না বা কাউকে কোনও কিছু মতামত রাখতে দেওয়া হয় না। এছাড়াও দেশ থেকে এখনো কোভিড পালিয়ে যায়নি তবুও ছোটো রুমের মধ্য বৈঠক করা হয়। কোভিড প্রটোকল মানা হয় না। ছাত্র ছাত্রী ও অধ্যাপকদের সাসপেণ্ড করা হয় অগণতান্ত্রিক ভাবে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা আদালতের নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দোপাধ্যায়ের হিয়ারিং হয়। প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে তাঁর বক্তব্য শোনা হয় এবং তার সমস্ত নথি দেখা হয়। এই মিটিং ভার্চুয়াল হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে সদস্যরা এই বৈঠকে যোগ দান করেন। যেমন দিল্লি থেকে প্রাক্তন বিচারপতি সাকারাম যাদব ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করেন।