বিশেষ প্রতিবেদন: গত বছর ৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে ইসরাইলি সেনা গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর প্রিজনার্স স্টাডিজ (পিসিপিএস)। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে মধ্যে শত শত নারী এবং শিশু রয়েছে। এছাড়া ইসরাইলি প্রশাসনিক আটকের পরিমাণও বেড়েছে। পিসিপিএস তাদের প্রতিবেদনে ২০২২ সালে ইসরাইলের হাতে আটক হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কমপক্ষে ১৬৪ জন নারী এবং ৮৬৫টি শিশুকে গ্রেফতারের খবর নথিভুক্ত করেছে।
পিসিপিএসের পরিচালক রিয়াদ আল আশকার জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া সকলেই ইসরাইলিদের হয়রানি, নির্যাতন ও অবমাননার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরাইল অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুকে মতামত প্রকাশকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে। অনলাইন কার্যকলাপের পরে ৪১০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনিদের পোস্টকে ‘উসকানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরাইল। বেশকিছু আটক ফিলিস্তিনিকে বিচারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর অন্যদের বিচার ছাড়াই প্রশাসনিকভাবে আটকে রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক বন্দিদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি ও তাদের বিচারের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
গত বছর ইসরাইল দ্বারা ফিলিস্তিনিদের প্রশাসনিক আটকের পরিমাণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় পিসিপিএসের প্রতিবেদনে। এই সংখ্যা ২,৩৪০ এ পৌঁছেছে। পিসিপিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়া ৮৬৫ জন নাবালকের মধ্যে ১৪২ জন ছিল ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, এবং কারও কারও ৯ বছর বয়স পর্যন্ত হয়নি।
২০২২ সালে ইসরাইলি আদালত অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ডলার জরিমানা আরোপ করেছিল। জেরুসালেমে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মোট ২, ৯৯০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে গাজা থেকে আরও ১০৮ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার ছাড়াও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গত বছর অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ১২৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত ২০২২ সালকে ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর’ বলে অভিহিত করেছেন।