পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয়সংস্কৃতি মন্ত্রক, সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্টে বলেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্বাবধানে থাকা দেশের ৩৬৯৩ টি সুরক্ষিত স্মৃতিসৌধের মধ্যে নিখোঁজ ৫০টি । গত 8 ডিসেম্বর পরিবহণ, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই ইস্যুতে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়।কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এই সৌধগুলি কি তবে চিরতরে হারিয়ে গেল !
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কমিটি ১৮ মে, ২০২২ তারিখে সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দ মোহন, এএসআই ডিরেক্টর ভি বিদ্যাবতী এবং সংস্থার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের মতামতও শুনেছিল
এই স্মারকগুলির মধ্যে ১৪টি ধ্বংস হয়ে গেছে নগরায়ণের কারণে।জলাধার তৈরি করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে ১২টি সৌধ। বাকিগুলির জন্য চলছে অনুসন্ধানের কাজ।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে ১১টি উত্তর প্রদেশের, দুটি করে দিল্লি এবং হরিয়ানায়।এছাড়াও অসম, পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের স্মৃতিস্তম্ভগুলিও তালিকায় স্থান পেয়েছে।
২০১৩ সালে ভারতের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের একটি ( ক্যাগ) বিবৃতিতে প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেখানেই এমন তথ্য প্রথম সামনে আসে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রিপোর্টে দাখিল করেছে। সংসদীয় স্থায়ীকমিটির সামনে রিপোর্ট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় সংসদীয় স্থায়ীকমিটি তিনটি কারণকে সামনে এনেছে। দ্রুত নগরায়ণ, একের পর এক বাঁধ নির্মাণ, এছাড়াও অনেক সৌধ ঘন জঙ্গলের মধ্যে ঢাকা পড়ায় সেগুলিরও অনেক ক্ষেত্রে সন্ধান মেলেনি।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার যেসমস্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধগুলির সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিল সেগুলির বেশিরভাগই স্বাধীনতার পরের দশকগুলিতে আবিষ্কৃত হয়েছিল। এর সময়কাল মোটামুটি ১৯৩০, ১৯৪০ এবং ১৯৫০। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে একটি সদ্য স্বাধীন দেশে সরকারের অগ্রাধিকার ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়ন। সেকারণেই হয়ত এই ঐতিহাসিক সৌধগুলির রক্ষণাবেক্ষনেও কিছু ঘাটতি থেকে গিয়েছে .