পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের জন্য ‘কৃত্রিম ত্বক’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনকারী ফরাসি প্রতিষ্ঠান উরগো। আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশে এই কৃত্রিম ত্বক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা। তাঁরা এ প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘জেনেসিস’। বর্তমানে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের কষ্টকর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ‘ড্রেসিং’ করা হয়।
একবার নয়, একাধিকবার এই কষ্ট সহ্য করতে হয়। এ কষ্ট লাঘবে ১০ কোটি ইউরো ব্যয়ে ‘জেনেসিস’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দেড় বছর ধরে গবেষকেরা এ নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি তৈরি হবে। ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে শেনভ এলাকায় উরগোর গবেষণাগারে কৃত্রিম ত্বক তৈরির কাজ চলছে। উরগোর মেডিকেল শাখার প্রেসিডেন্ট জিউহেক লেলুস জেনেসিস বলেন, তাঁরা গবেষণাগারে কৃত্রিম ত্বক আবিষ্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কৃত্রিম ত্বক আবিষ্কারের এ চেষ্টাকে যুগান্তকারী বর্ণনা করে উরগোর গবেষণা পরিচালক লরেন্ট অ্যাপার্ট বলেন, ‘এ শতাদ্বীর শুরু থেকে আমরা অগ্নিদগ্ধ মানুষদের সারিয়ে তুলতে কাজ করছি। ড্রেসিং খুবই দারুণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। ক্ষত সারিয়ে তুলতে এটা বেশ কার্যকর। এটা অগ্নিদগ্ধ মানুষের অনেক উপকার করে।’ তবে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের সারিয়ে তোলার বিষয় নিয়ে আরও কার্যকর পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা অনেকেই করছে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা ড্রেসিংয়ের নতুন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। গবেষকেরা বলছেন, কৃত্রিম ত্বক আবিষ্কার হলে সবচেয়ে উপকৃত হবে শিশুরা। কারণ, অগ্নিদগ্ধ মানুষের বেশির ভাগই শিশু। ‘গ্লোবাল বার্ন রেজিস্ট্রি’ নামে বিশ্বে অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের যে হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাখে তাতে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে যারা অগ্নিদগ্ধ হয়, তাদের প্রায় অর্ধেকের বয়স এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে।