পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আফগানিস্তানে সব ধরনের দেশি-বিদেশি নারী এনজিওকর্মীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানে সব ধরনের এনজিওতে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে তালিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নারী এনজিওকর্মীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আফগান অর্থমন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা এনজিওতে কাজ করতে পারবেন না।
কারণ, অনেক নারী পোশাক রীতি মেনে কর্মক্ষেত্রে আসছিলেন না।’ তালিবান সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি রমিজ আলাকবারভ। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রকের চিঠি গভীর উদ্বেগের। এটি সুস্পষ্ট ‘মানবিক নীতির লঙ্ঘন।’ সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রসংঘের মতো সংস্থার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কি না, তা স্পষ্ট নয়। রাষ্ট্রসংঘ আফগানিস্তানে মানবিক সংকট মোকাবিলায় বিস্তৃত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এ ছাড়া সংস্থাটিতে অনেক নারী প্রতিনিধি রয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আফগান সরকারের এই চিঠির ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার কাজ চালিয়ে যাওয়া এনজিওগুলোর কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। এদিকে, আফগানিস্তানে এনজিওতে নারীদের কাজ করার ওপর তালিবান যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ-এর বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, এনজিও-তে নারীদের কাজ করার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞার কঠোর নিন্দা জানাই। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি বিচার-বিবেচনা করছি। এ পরিস্থিতি আমাদের সহায়তা কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে।’ মাত্র কয়েদিন আগেই নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। এ নিয়েও সমালোচনা চলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নারীদের শিক্ষা ও কাজে বাধা দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ফের একবার কোণঠাসা হয়ে পড়বে তালিবান। এভাবে তালিবান সরকার বৈদেশিক সহায়তা এবং স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হতে পারে।