দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? উচ্চ মাধ্যমিকে সিংহভাগ পরীক্ষার্থীর নম্বর না বাড়ায় স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শিক্ষকদের তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ঘটনা।পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জানা গেছে, ওই স্কুলে তিনশো তেইশ জন পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনর্মাজিত নম্বরের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের দাবি ছিল, পর্ষদ মূল্যায়নের জন্য মাপকাঠি ঠিক করেছে সেই নিরিখে নম্বর দিক। কিন্তু তা না হয়ে মাত্র আটত্রিশ জন পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ে। সেই রেজাল্ট স্কুলে পৌঁছতেই শুরু হয় ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অফিস এবং লাইব্রেরি ঢোকার মুখে প্রধান কোলাপসিবল গেটে তালা মারা হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে শিক্ষকদের তালাবন্দি করে রাখা হয়। আধঘন্টা পর বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।
প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, স্কুলের কোনও ত্রুটি নেই। পর্ষদ ভুল করেছে। স্কুল থেকে মেল করে চিঠি লেখা হবে। সোমবার তিন জন অভিভাবক প্রতিনিধি নিয়ে পর্ষদ যাব।
অন্যদিকে, বোলপুর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর আশানুরূপ না হওয়ায় ছাত্ররা আন্দোলন বিক্ষোভ করতে শুরু করে। স্কুলের তরফে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মার্কশিট সংশোধন করার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তার মধ্যে ৫৩ জন ছাত্র দের মার্কশিট সংশোধন করা হয় এবং প্রাপ্ত নম্বর বেড়ে যায়। মাত্র দুইজন ছাত্র এই থেকে বাদ পড়ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ২ ছাত্রের কিছু ভুল ত্রুটি ছিল বলে দাবি করে। তবে, কাউন্সিলের তরফে আগেই স্পষ্ট করে জানানো হয়, এই ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে চাইলে আগামী বছরে দিতে পারে। এমনকী সংশোধিত প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট থাকলেও ছাত্ররা সেই পরীক্ষা দিতে পারবে।
স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক লাহা বলে, মোটের উপর সন্তুষ্ট হলেও, এই প্রাপ্ত নম্বরে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।