পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ধর্ষণে অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম ছিল গুজরাতের এক সাধুর। এবার যৌথ অভিযান চালিয়ে সেই সাধুকে গ্রেফতার করল রাজস্থান ও গুজরাত পুলিশ।
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দীর্ঘ দু’বছর ধরে গুজরাতের জুনাগড়ে বসবাস করছিলেন এই সাধু। শুক্রবার সন্ধ্যায় কেশোদের মহাকালী মন্দির থেকে অভিযুক্ত দেবনারায়ণ ওরফে লাল বাবা ওরফে চুনিলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে নির্যাতিতা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। রাজস্থান পুলিশ অভিযুক্ত সাধুকে খুঁজে দিতে পারলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা তার বয়ানে জানিয়েছিলেন বিয়ের পর গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। চেক আপের সময়, তার পরিবার জানতে পারেন বিয়ের আগেই তার গর্ভপাত হয়েছিল। শারীরিক জটিলতার কারণে সে আর গর্ভধারণ করতে পারবে না।
এর পরেই ওই নির্যাতিতা বিয়ের আগে তার উপর পাশবিক অত্যাচারের কথা স্বামীকে জানান। তার পরেই থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
প্রযুক্তিগত নজরদারির ভিত্তিতে রাজস্থান ও গুজরাত পুলিশের একটি যৌথ দল মন্দিরে পৌঁছে কেশোদের মহাকালী মন্দির থেকে অভিযুক্ত দেবনারায়ণ ওরফে লাল বাবা ওরফে চুনিলালকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিতা অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, সে তার মাসীর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই তাকে বারবার ধর্ষণ করে এই সাধু। বিষয়টি কারুর কাছে জানালে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।