নিজস্ব প্রতিবেদক: দুনিয়াজুড়ে ফের তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশেও শনাক্ত হয়েছে চিনে তাণ্ডব চালানো করোনার বিএফ.৭ উপরূপ। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তার জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে মারণ ভাইরাসকে মোকাবিলার জন্য রাজ্যগুলির কাছে আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। একই সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি তাঁদের গতিববিধির উপরে নজরদারি চালানোরও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। নমুনা পরীক্ষা ও টিকাকরণের উপরে জোর দেওয়া দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।
দুই বছর আগে করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে গয়ংগচ্ছ মনোভাব দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাফিলতির ফলেই দেশে মারণ ভাইরাস বেনজির তাণ্ডব চালিয়েছিল বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করেছিলেন। এবার যাতে ওই অভিযোগ না ওঠে তার জন্য প্রথম থেকেই নড়েচড়ে বসেছে মোদি সরকার। শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
সূত্রের খবর ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই বছর আগে যেভাবে হাতে হাত মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো হয়েছিল, এবারেও তাই করতে হবে। হাসপাতালগুলিকে আগেভাগেই করোনা আক্রান্তদের জন্য তৈরি করতে হবে। কীভাবে মূমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসা করতে হবে প্রয়োজনে তার আগাম মহড়া চালাতে হবে। সামনেই যেহেতু বড়দিন, থার্টি ফার্সট, নিউ ইয়ায়, গঙ্গাসাগর মেলা, কুম্ভ মেলা সহ উৎসব রয়েছে, তাই ওই উৎসব পালনে র ক্ষেত্রে যাতে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপরেও বিশেষ জোর দিতে হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে। ওই অ্যাডভাইজরিতে বদ্ধস্থানে অর্থাৎ ইন্ডোরে এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে অনুষ্ঠানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার জন্য আয়োজকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।