পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পৃথিবীর বাইরে এলিয়েনের অস্তিত্ব প্রশ্নে ব্যাপক গবেষণা করেছে পেন্টাগন। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা একাধিকবার ভিনগ্রহীদের যান ‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস’ (ইউএফও) দেখার দাবির পরই তদন্ত শুরু করেন পেন্টাগনের একদল গবেষক।
দীর্ঘ গবেষণার পর পেন্টাগন জানিয়েছে, এলিয়েনের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পৃথিবীতে বাইরের কোনও গ্রহের যান এসেছে কি না, এমন প্রমাণও মেলেনি। এই তথ্য দিয়েছেন পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা রোনাল্ড মোলট্রি।
তিনি বলেন, ‘আকাশে, স্থলে ও মহাকাশে এলিয়েনের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে আমাদের কাছে অনেক তথ্য হাতে এসেছে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত যেসব প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এলিয়েন বা ইউএফও-র কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।
গত বছরের আগস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে। এর উদ্দেশ্য ছিল ইউএফও নিয়ে তদন্ত করা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইউএফও দেখতে পাওয়ার খবরগুলিকে চিহ্নিত করে তা বিশ্লেষণ করা ছিল টাস্ক ফোর্সের প্রধান দায়িত্ব। তা ছাড়া ইউএফওর প্রকৃতি এবং উৎস সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করাও তাদের কাজের মধ্যে ছিল।
পেন্টাগনের নবগঠিত অল ডোমেইন অ্যানোমালি রেজ্যুলেশন অফিসের (এএআরও) পরিচালক সিন কির্কপ্যাট্রিক জানিয়েছেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
তবে তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিকভাবে এগিয়ে যেতে চান তারা। উল্লেখ্য, বহির্জাগতিক প্রাণ, ভিনগ্রহী বা জনপ্রিয়ভাবে এলিয়েন বলতে সেই জীবদের বোঝানো হয়, যাদের উদ্ভব এই পৃথিবীতে হয়নি বরং পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও হয়েছে।
বিশ্বের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, আর এই দাবি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০০৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তারা আকাশে ১৪০ বারেরও বেশি অস্বাভাবিক বস্তু দেখার দাবি করেছেন। যার মধ্যে ৮০টি একাধিক সেন্সরে রেকর্ড করা হয়েছে।