দেবশ্রী মজুমদার,বীরভূম:দশম মহররম ইসলামের একটি উল্লেখযোগ্য দিন। সেদিন নবী হযরত মুহাম্মদের দৌহিত্র ইমাম হোসেন ও তাঁর বাহাত্তর জন সঙ্গী কারবালা প্রান্তে শহীদ হন। তাই এই দিন ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে শোকের দিন। এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে এই দিনে। তাই বিশেষ দিনটি পালন হয়ে থাকে মর্যাদার সঙ্গে। তবে এবার কোভিডের কারণে কোন তাজিয়া বা মিছিল বের না করার আবেদন জানানো হয় প্রশাসনের তরফে। এদিন বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে রামপুরহাট পৌরসভা প্রশাসনিক ভবনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ, পৌরসভার চেয়ারপার্সন প্রতিনিধি সৌমেন ভকত, আব্বাস হোসেন, আনারুল হোসেন রামপুরহাট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্টজনেরা। এদিন এসডিপিও সায়ন আহমেদ জানান ,করোনার মহামারী চলছে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এবার মহরম কে কেন্দ্র করে পুলিশের তরফ থেকে সরকারের গাইডলাইন এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি দুএকদিনএর মধ্যেই চলে আসবে । গত বছরের মতো এবছরও মহরমে কোনও তাজিয়া বের হবে না, না কোন জুলুস বা মেলা হবে।অল্প কয়েকজন মানুষ নিয়ে তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবে।
বেশী মানুষ জমায়েত করা যাবে না, বিশেষ করে মিছিল করে কোন কিছু করা যাবে না। রামপুরহাট সমস্ত মানুষকে বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে এই অনুরোধ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসলামি আরবি বছর ১৪৪২কে বিদায় জানিয়ে হিজরি নববর্ষ ১৪৪৩ হিজরির সূচনা এই মহরম ইসলামি নববর্ষের মধ্য দিয়ে। দশ অগাস্ট রাসুলের মক্কা থেকে মদিনা যাত্রার দিন থেকেই হিজরি শুরু। দশম মহরমে হজরত ইমাম হুসেনের স্মরণে হয় শোক উদযাপন। এই দিনটিকে রোজ-এ-আশুরা বলা হয়। এই দিনটিকে মহরমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে ধরা হয়। এইদিন জুলুস বের করে হুসেনকে স্মরণ করা হয়। দশম মহরমে রোজা রাখারও প্রথা রয়েছে। তবে কোভিডের কারণে এবার সেসব কিছু হচ্ছে না।
অন্যদিকে, বোলপুরে দর্জিপাড়া কমিটি পবিত্র এই দিনের স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। তাদের সাহায্য করে বোলপুর লায়েক বাজার খানকা ও অনুভব ওয়েল ফেয়ার কমিটি। বিভিন্ন মাতম অনুষ্ঠানে রক্ত না ঝরিয়ে রক্তদান করে জেলার হাসপাতালের রক্ত সঙ্কটকে দূর করতে তাঁরা ব্রতী হয়েছেন। পবিত্র মহরম মাসে এই পুণ্যের কাজ তাঁরা করতে চান।