পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিনের প্রেম যে এত মর্মান্তিক হতে পারে তা কল্পনা করতে পারেননি প্রেমিকা। বিশ্বাস আর ভালোবাসার কারণেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘনিয়ে এল নৃশংসতা।
প্রেম করলেও বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না প্রেমিক। তাই প্রেমিকাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এক পাশবিক পরিকল্পনা করে ফেলেন প্রেমিক। ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকা সীমা দাসকে খুন করে প্রেমিক।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা জগন্নাথ গোড়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সীমা। তবে বেশ কয়েকমাস ধরে জগন্নাথকে বিয়ে করার জন্য বলতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিয়ের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না জগন্নাথ। প্রেমিকাকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। এর পরেই গুজরাতের সুরাতে সীমাকে ডেকে পাঠায় জগন্নাথ। ভালোবাসার টানে সীমা ভুবনেশ্বর থেকে সুরাতে আসে।
দু’দিন পর শহর ঘোরানোর নাম করে সীমাকে নিয়ে বের হয় জগন্নাথ। সব পরিকল্পনা করাই ছিল জগন্নাথের। সেই জায়গায় প্রেমিকাকে নিয়ে সেখানে যায়। তারপরই সকলের অলক্ষ্যে সীমাকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। যতক্ষণ না মৃত্যু হচ্ছে ততক্ষণ কোপাতে থাকে জগন্নাথ। তারপর তাঁর নিথর দেহ ফেলে চম্পট দেয় জগন্নাথ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সীমাকে ৪৯ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পরেই তদন্ত নামে পুলিশ। মৃতার পরনের টি-শার্ট ও আশপাশের সিসি ক্যামেরাকে থেকে খুনের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছবির সাহায্যে জগন্নাথের খোঁজ পায় পুলিশ। তারপর ভুবনেশ্বর থেকে সীমাকে খুনের অভিযোগে জগন্নাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কোনও ব্যক্তি জড়িয়ে আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।